তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাদের কথাতেই এটি প্রতিফলিত হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত শহীদ নূর হোসেন স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবার উপায় নেই’মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপিকে বলবো, তারা যে পথে হাঁটছে, যেভাবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অতীতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন, এটি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং আজকেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা, সেটিও মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।’
‘আমরা চাই দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ঘুচাতে এবং শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপি যদি তাদের এই ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করে, পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে হত্যার পথ পরিহার না করে, তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো আর জনগণের প্রিয় হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
ড. হাছান বলেন, ‘সুতরাং বিএনপি জানে যে তারা এই নির্বাচনে পরাজিত। এটি জেনেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। বহু আগে থেকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই তারা এই কথাবার্তাগুলো বলে আসছে, আজকেও সে একই কথার প্রতিধ্বনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ ঢাকা উত্তরে এবং সিরাজগঞ্জে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মূল উদ্দেশ্য, নির্বাচনকে বিতর্কিত করা এবং নির্বাচন শেষে একগাদা অভিযোগ নিয়ে তারা হাজির হয়। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে সংস্কৃতি তারা লালন করছে, সাত সমুদ্র-তেরো নদীর ওপারের অনেকের সাথে এটি মিলে যাচ্ছে।
ড. হাছান এসময় শহীদ নূর হোসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন জীবন দিয়ে তার জীবন্ত পোস্টারকে চির অবিস্মরণীয় করে রেখে গেছেন। যে গণতন্ত্রকে বাংলাদেশে বারবার শিকলবন্দী করা হয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নূর হোসেনসহ আরো মানুষের রক্তের বিনিময়েই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে নূর হোসেনের জীবন্ত পোস্টার দেশের ইতিহাসে জীবন্ত হয়েই থাকবে, গণতন্ত্রের ইতিহাসে তার নাম সবসময় রক্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী, শহীদ নূর হোসেনের ভাই আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি আলী হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, সাবেক ছাত্রনেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।