নোয়াখালীতে আ.লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০৪

image-107243-1574250323

নোয়াখালী আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের শতাধিক কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কের টাউন হল থেকে সম্মেলনস্থল স্টেডিয়াম পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাংচুর করা হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন মো. আবদুল আজিম জানান, সংঘর্ষে আহত ১০৪ জনের মধ্যে ৪০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত আরিফ (১৮) নামে এক কর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্মেলন শুরুর আগে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর-সুবর্ণচর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী সম্মেলনস্থল শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে যাচ্ছিলেন। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের অনুসারীরা জজকোর্ট সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে যাচ্ছিল। পথে শহরের টাউন হলের মোড়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এক পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এমপি একরামুল করিম চৌধুরী অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ সম্মেলনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে মেয়রের লোকজন শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিনা উস্কানিতে এমপির সমর্থকরা তার সমর্থদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

Pin It