আবারো শুরু হয়েছে চলতি বছরের জলচর পাখিশুমারি। শুমারির প্রথম দিন গত সোমবার রাজশাহীর পদ্মা নদীর ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় ৪১ প্রজাতির মোট ২ হাজার ৭০৯টি জলচর পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে ৫৭৭টি প্রিয়ং হাঁস। বিরল প্রজাতির পাখির মধ্যে আছে কালো মানিকজোড় ও একটি ফুলুরি হাঁস।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংঘ আইইউসিএন বাংলাদেশের ওয়াইল্ড বার্ড মনিটরিং প্রোগ্রাম ও সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সোমবার থেকে পাখিশুমারি শুরু হয়েছে। আইইউসিএন বাংলাদেশ প্রতি বছর পাখিশুমারি করে। পাখিশুমারিতে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, রাজশাহী বার্ড ক্লাব ও বন অধিদপ্তরের সদস্যবৃন্দ।
রাজশাহীর পদ্মা নদীর প্রায় ৩৯ কিলোমিটার অংশে পাখিশুমারি করা হয়েছে। রাজশাহীতে পদ্মা নদীর চর খানপুর থেকে শুরু করে মাঝারদিয়াড় চর পর্যন্ত শুমারির কাজ চালানো হয়। আগামী এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাখিশুমারি চলবে। বছর শেষে ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা থেকে পাখিশুমারির ফল প্রকাশ করা হবে।
আইইউসিএন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা সরোয়ার আলম দিপু জানান, এ বছর পদ্মা নদীতে পরিযায়ী পাখির প্রজাতি বাড়লেও পাখির সংখ্যা কম। গত বছরের শুমারিতে পদ্মা নদীর ওই এলাকায় ৩৭ প্রজাতির মোট ৪ হাজার ২৫টি পাখি গণনা করা হয়েছিল।