বন্যা দুর্গতদের কাছে ‘সরকারি ত্রাণ যাচ্ছে না’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আজকে প্রলয়ঙ্করী বন্যা হচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যাচ্ছে। পদ্মার চর, যমুনার চর যেখানে মানুষজন কৃষি কাজ করত, যেখানে মানুষ ঘর-বাড়ি করেছে- সব কিছু তলিয়ে গেছে, মানুষের গোয়ালের গরু-ছাগল ভেসে গেছে।
“কোথায় সরকারের এাণ? পদ্মার চর, যমুনার চরের দুর্গত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছায়নি। আপনার (সরকার) উন্নয়নের ছোঁয়া সম্রাটদের পকেটে যায়, সাহেদের (রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার) পকেটে যায়।”
দুঃস্থ মানুষের জন্য বরাদ্ধ করা অর্থ ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা ‘আত্মসাৎ’ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম মহাসচিব।
বন্যা কবলিত পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতা-কর্মীসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রিজভী।
সরকারের বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, “এই যে উন্নয়ন, এই যে মেগা প্রজেক্টের নমুনা আজকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আসতে এক কোমর পানি ডিঙিয়ে আসতে হয়েছে। রাস্তা-ঘাট সমস্ত কিছু আজকে পানিতে ডুবে গেছে, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার কি অবস্থা!
“ঢাকা মহানগরীতে দেখুন একটু বৃষ্টি হলে যানবাহন চলাচল করতে পারে না, মুভ করতে পারে না। এক ভয়ংকর দুর্ভোগের মধ্যে মানুষজন বসবাস করছে।”
ঈদের আগে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-বোনাস দ্রুত পরিশোধের দাবি জানান তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “আজকে মহামারীতে হাজার হাজার টাকা বিদ্যুতের ভৌতিক বিল আসে। বাজারে এক কেজি শাক-সবজি কিনতে গেলে বিদ্যুতের শক লাগে। তাহলে শ্রমিক বা নিম্ন আয়ের মানুষের কী অবস্থা? শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষকে পিষে মারতে আওয়ামী লীগ সরকার শক্তিশালী।”
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান, ছাঁটাই বন্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের জন্য সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্রদানের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের মেহেদি আলী খান, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, রফিকু ইসলাম, খন্দকার জুলফিকার মতিন, সুমন ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।