ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণির ঘটনার আগের দিন রাতে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ৭ জুন রাতে গুলশান-২ নম্বরের ১৩৭ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমণির প্রবেশ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
গুলশান পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ৭ জুন দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি সাদা রঙের গাড়িতে করে পরী মণি ও তার সঙ্গে আরো তিন জন গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবের সামনে নামে। এসময় ক্লাবের গেট বন্ধ ছিল। পরী মণির পরনে ছিল নীল রঙের জিন্স প্যান্ট ও সাদা রঙের টপস।
অল কমিউনিটি ক্লাবের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পরীমণি ক্লাবের প্রবেশ গেটে লাথি মারেন। এরপর ভিতর থেকে গেট খুলে দেওয়া হয়। তারা ক্লাবের ভিতরে বারে গিয়ে মদপান করতে চায়। কিন্তু রাত ১১ টার পর ক্লাব বন্ধ করার নিয়ম থাকায় বার খুলতে অস্বীকৃতি জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এসময় পরী মণি উচ্চবাচ্যে হৈ চৈ করতে থাকেন। তখন ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সার্ভিস দেন।
পরী মণি ও তার সহযোগীরা এতে সন্তুষ্ট না হয়ে চিৎকার ও চেঁচামেচি করেন। এসময় পরী মণি নিজেই ৯৯৯ এ ফোন করেন। ফোন পেয়ে গুলশান থানা পুলিশের একটি টহল টিম ক্লাবে যায়। পুলিশ ভিতরে ঢুকে অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর পরী মণিকে ক্লাব থেকে চলে যেতে বলেন। ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় পরী মণি তার অপর তিনজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে ক্লাব থেকে বের হয়ে গাড়িতে করে চলে যান।
এসব বিষয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি এ কে এম আলমগীর হোসেন বলেন, ক্লাবের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এ ঘটনায় ক্লাবের একজন সদস্যকে শোকজ করা হয়। ওই সদস্য ক্ষমা চেয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। আমরা বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছি। আমরা কোনো সদস্যের সঙ্গে আসা গেস্টকে শোকজ করতে পারিনা। আর ওই দিনের ঘটনার ব্যাপারে আমরা পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করিনি।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশের টহল টিম অলকমিউনিটি ক্লাবে গিয়েছিল। বিষয়টি ক্লাবের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা কোনো অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশের যাওয়া এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে।