পরপর দুই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর কলকাতার আরেক অভিনেত্রী, মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মায়ের দাবি, ঘনিষ্ট বান্ধবী বিদিশার মৃত্যুতে তীব্র হতাশা আর অবসাদে ভুগছিলেন মঞ্জুষা; এর জেরেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।
সদ্য প্রয়াত আরেক অভিনেত্রী পল্লবী দের সঙ্গেও মঞ্জুষার যোগাযোগ ছিল।
পুলিশ এ ঘটনায় কোনো ‘সুইসাইড নোট’ পায়নি। তবে ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হিসেবেই তদন্ত শুরু করেছে তারা।
শুক্রবার আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন-চার দিন আগে কলকাতার পাটুলিতে বাবার বাড়িতে আসেন মঞ্জুষা, ওই বাড়ি থেকেই তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতায় বিনোদন জগতে এ নিয়ে তৃতীয় ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত ১৫ মে দক্ষিণ কলকাতার গরফা এলাকায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
বুধবার অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজারে তার ফ্ল্যাটে। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার কাঁকিয়ানাড়ায় হলেও কলকাতার দমদম এলাকায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।
শুক্রবার এল মঞ্জুষার মৃত্যুর খবর। সর্বশেষ একটি টেলিভিশনের ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন তিনি, পাশাপাশি থিয়েটারেও কাজ করছিলেন।
আনন্দবাজার লিখেছে, বৃহস্পতিবারও ফটোশুটে অংশ নেন এই ফ্যাশন মডেল। ওই দিন মঞ্জুষাকে বাবার বাড়ি থেকে নিতে তার স্বামী এসেছিলেন, কিন্তু মায়ের অনুরোধ ছিল মেয়ে যেন আরও কয়েকদিন থেকে যায়।
পুলিশের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছেন, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মঞ্জুষার মরদেহ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। বিদিশার মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।