পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবারের এ ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ব্যাপক চ্যাঞ্চল্য সৃস্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলবাড়িতে সরস্বতীর পুজার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সত্যজিৎ। এ সময় মঞ্চের ঠিক সামনে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাকে খুন করে একদল দুর্বৃত্ত। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের যায় তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কী কারণে খুন তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। দুর্বৃত্তকারীরা ঘটনাস্থলে বন্দুক ফেলে পালিয়ে যায়।
নদিয়া জেলা তৃমমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের অভিযোগ করেছেন এ ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের শাসক দলের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক৷ মনে করেন তিনি৷ এর শেষ দেখে ছাড়ব বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তৃণমূলের নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বলেন, সংগঠনের জোর না থাকায় খুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। পশ্চিমবঙ্গে তারা একটিও আসন পাবে না।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা অভিযোগ করে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম থেকে নদিয়ায় আমদানি করা রাজনীতির জের এই ঘটনা। তবে রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তার চ্যালেঞ্জ আগে এই ধরনের অভিযোগ করা হলেও তার প্রমাণ মেলেনি। এইবার তৃণমূল অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাক।
যদিও বিধায়ক খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। আড়নঘাটার তৃণমূল বিধায়ক সমীর পোদ্দারের দাবি, দলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। জেলায় পঞ্চায়েতে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু লোকসভায় তাদের পরাজয় নিশ্চিত। সেই জন্যই এই খুন করে এলাকায় ভীতির সঞ্চার করতে চাইছে তারা।