ভারতের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর থেকে বিদায়ে শঙ্কিত পাকিস্তান ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩১ রান তাড়ায় পাকিস্তান হারে ১ রানে।
জয়ের জন্য শেষদিকে ১৮ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। ১৮তম ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানি খরচ করেন মাত্র ৭ রান।
শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। ১৯তম ওভারে রিচার্ড নাগরাভাকে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১১ রান আদায় করে নেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
পাকিস্তানের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। প্রথম বলে ৩ আর দ্বিতীয় বলে ৪ রান নিয়ে ম্যাচ সহজ করেন নওয়াজ-ওয়াসিম।
শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন ওয়াসিম। চতুর্থ বলে কোনো রান নিতে পারেননি নওয়াজ। পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ব্রান ইভান্সের করা বলে ১ রানের বেশি আদায় করে নিতে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান শাহিন শাহ আফ্রিদি। যে কারণে পাকিস্তান হারে ১ রানে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের ২৪তম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে জিম্বাবুয়ে।
১৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে প্রথমসারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলের সেরা দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের পর সাজঘরে ফেরেন ইফতেখার মাহমুদ।
চতুর্থ উইকেটে শাদাব খানকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন ওয়ান ডাউনে নামা শান মাসুদ। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন শাদব খান, হায়দার আলী ও শান মাসুদরা। ১৪ বলে ১৭ রান করে ফেরেন শাদাব খান। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি হায়দার আলী।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর থেকে দলের হয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ফিফটির দোরগোড়ায় গিয়ে আউট হন শান মাসুদ। তিনি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ৩৮ বলে তিন বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে ফেরেন। তার বিদায়ে ১৫.১ ওভারে ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিদায় ঘণ্টা কি বেজে গেল ?
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর শুরু পাকিস্তানের। আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে জয়ে ফেরার।
কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩১ রানের মামুলি স্কোরও তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ ওভারে ১১ রান তাড়ায় ৯ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। ১ রানের জয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে জিম্বাবুয়ে।
ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে দুই ম্যাচে কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তান। টেবিলের তলানিতে পড়ে আছে ২০০৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় পজিশনে উঠে এসেছে। সুপার টুয়েলভে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। সেই ম্যাচ থেকে তারা অর্জন করে ১ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হারিয়ে অর্জন করল ২ পয়েন্ট। সবমিলে জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট হলো ৩।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩০/৮ রান (শেন উইলিয়ামস ৩১, ব্র্যাড ইভান্স ১৯*; মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪/২৪)।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৯/৮ রান (শান মাসুদ ৪৪, মোহাম্মদ নওয়াজ ২২, শাদাব খান ১৭)।
ফল: জিম্বাবুয়ে ১ রানে জয়ী।