লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সোমবার ( ২৬ এপ্রিল) কুয়েতের একটি আপিল আদালত তাঁর কারাদণ্ডাদেশ তিন বছর বাড়িয়েছেন। ফলে তার কারাদণ্ডাদেশ চার বছর থেকে বেড়ে সাত বছর হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস ও আল নাহার থেকে পাপুলের এ কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর খবর জানা গেছে। পাপুলের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার মধ্যে ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে তাকে চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সেই মামলায় মানব পাচারের দায়ে সাজা আরো তিন বছর বাড়িয়ে সাত বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাটি এখনো বিচারাধীন।
কুয়েতের আদালত সূত্রে জানা গেছে, আপিল আদালত আজ মানব পাচারের মামলায় শহিদ ইসলামের পাশাপাশি আরও তিনজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেন। তাঁরা হলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাজেন আল জারাহ, কুয়েতের সাবেক সাংসদ সালাহ খুরশিদ ও কুয়েতের একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাঁদের সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই মামলা থেকে কুয়েতের বর্তমান সাংসদ সাদুন হামাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মূলত অবৈধভাবে বাংলাদেশের লোকজনকে কুয়েতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের দায়ে গত জানুয়ারিতে শহিদ ইসলামের চার বছর কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করেন আদালত। এ মামলায় কুয়েতের তিন নাগরিকের পাশাপাশি সাংসদ শহিদের তিন সহকর্মী এবং সিরিয়ার এক নাগরিককে কারাদণ্ড দেন আদালত।
শহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলার বিচার এখনো বাকি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অর্থ পাচারের দায় এড়ানো সাংসদের জন্য কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁর সাজা আরও কয়েক বছর বাড়তে পারে।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদকে গত বছরের ৬ জুন রাতে তাঁর কুয়েত সিটির বাসা থেকে সে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। কুয়েতে কারাদণ্ডাদেশ হওয়ার পর পদ হারান তিনি।