লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও স্ত্রীর বোন জেসমিন প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুদক থেকে তাদের কাছে এ তলবি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীন স্বাক্ষরিত ওই তলবি নোটিশে তাদেরকে আগামী ২২ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে লোন বরাদ্দ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বিদেশে পাচার এবং শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা প্রয়োজন।
নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আগামী ২২ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কমিশন পাপুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থপাচার ও শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে অনুসন্ধান তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীনকে কমিশন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় ১৭ জুন দুদক পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয়। এরপর গত ২২ জুন পাপুল, স্ত্রী সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক।
উল্লেখ্য, পাপুলকে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সেদেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। বর্তমানে তিনি কুয়েতে কারাবন্ধি রয়েছেন।