পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী, কারণ খুঁজতে পরামর্শ হাই কোর্টের

February...TwentyFive-58

এক দশক আগে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে বিদ্রোহের মধ্যে পিলখানায় অর্ধ শতাধিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার পেছনের ঘটনা উদ্ঘাটনে একটি কমিশন গঠনের পক্ষে মত জানিয়েছে হাই কোর্ট।

আদালত বলেছে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে জাতির সামনে প্রকৃত স্বার্থান্বেষী মহলের চেহারা উন্মোচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেছেন, “বাংলাদেশ রাইফেলসের বিভাগীয় কতিপয় উচ্চাভিলাষী সদস্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা ও উস্কানিতে সাধারণ ও নবাগত সৈনিকগণ বিভ্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ করেছিল।”

সেই সঙ্গে সুশৃঙ্খল বাহিনীতে ‘অপারেশন ডাল ভাত’র মতো কোনো আর্থিক কর্মসূচি গ্রহণ না করার পক্ষেও অভিমত দিয়েছেন বিচারকরা।

আদালত বলেছে, “আর্থিক লেনদেন ও লাভ-ক্ষতির হিসাব-নিকাশ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি অহেতুক বিভেদ ও নৈতিক স্খলনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। অপারেশন ডালভাত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।”

বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় বুধবার প্রকাশের পর উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ও অভিমত জানা যায়।

হাই কোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে মোট ২২টি সুপারিশ করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. শওকত হোসেন নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চের অন্য দুই বিচারক হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. শওকত হোসেন বৃহস্পতিবার অবসরে যাওয়ার আগে তারসহ অন্য দুজনের স্বাক্ষরে পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হল।

রায়ে বিচারক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার আলাদাভাবে মোট ২২ দফা সুপারিশ করেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক শওকত হোসেন এসব সুপারিশে সহমত পোষণ করেন।

২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর হাই কোর্ট উন্মুক্ত আদালতে সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিল। তার দুই বছর পর পূর্ণাঙ্গ রায় এল।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ঢাকার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।

রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ।

৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ছয় হাজার জওয়ানের কারাদণ্ড হয়।

রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হয়।

বিদ্রোহের বিচারের পর পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে।

ঢাকার জজ আদালত ২০১৩ সালে রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া ২৫৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়।

বিদ্রোহের ঘটনা যেমন পুরো বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল, এক মামলায় এত আসামির সর্বোচ্চ সাজার আদেশও ছিল নজিরবিহীন।

পরে ২০১৭ সালে দেওয়া রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাই কোর্ট। ১৮৫ জনকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়, তিন থেকে ১০ বছরের সাজা দেয় ২২৮ জনকে।

সব মিলিয়ে হাই কোর্টের রায়ে অভিযোগ থেকে খালাস পায় মোট ২৮৮ আসামি। অভিযুক্ত ৮৪৬ জন আসামির মধ্যে বাকি ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির পর ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেখানোর সময় হাই কোর্ট মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা দেশের অবস্থান এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিরোধিতার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়।

হাই কোর্ট বলেছে, বিশ্বের ১৪০টি দেশসহ উন্নয়নশীল দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে বর্বর ও নিষ্ঠুর আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করেছে। কিছু মানবাধিকার সংগঠনও মৃত্যুদণ্ড বাতিলের দাবি করছে।

তবে চীন, জাপান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এখনও যুদ্ধাপরাধ, হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রায়ে হাই কোর্ট বলেছে, “আলোচিত এ ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ পোড়ানো হয়েছে। আলামত নষ্ট করার জন্য গণহারে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এই নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের জন্য জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়াই শ্রেয়; যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটাতে কেউ সাহস না পায়।”

বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্য

রায়ে বিচারক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বিডিআর বিদ্রোহের আটটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করেছেন।

>> সেনা কর্মকর্তাদের জিম্মি করে যে কোনো মূল্যে দাবি আদায় করা।

>> বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে এই সুশৃঙ্খল বাহিনীকে অকার্যকর করা।

>> প্রয়োজনে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিডিআরে প্রেষণে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা।

>> বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা।

>> মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৮ দিনের নবনির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের প্রয়াসে অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশকে নিপতিত করা।

>> বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।

>> বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।

> জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিডিআরের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় দেশের অন্যান্য বাহিনীর অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত করা ইত্যাদি।

বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর ১১ সুপারিশ

>> বাংলাদেশ রাইফেলসের নিরাপত্তা বিষয়ক ইউনিট আরএসইউকে মেধাবী, সৎ ও চৌকস সদস্যদের দিয়ে ঢেলে সাজানো এবং পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে দায়িত্বে অবহেলার জন্য ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা আরএসইউ এবং বিদ্রোহের পূর্বাভাস সংগ্রহে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

>> বিডিআরে তীব্র অসন্তোষ ও প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণের বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাসহ কমান্ডিং অফিসারদের নজরে আসা সত্ত্বেও তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ না নিয়ে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্টদের মনযোগী ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

>> মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মেধাবী, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দক্ষ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বিজিবির মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রেষণে নিয়োগে ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভাগীয় আইন ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

>> সামরিক অথবা বেসামরিক সব শ্রেণির কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করে সেবার মানসিকতা নিয়ে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া। পেশা, পদবী, সামাজিক পরিচয়কে প্রাধান্য না দিয়ে সংবিধানে উল্লিখিত মূলনীতি অনুসরণ করে সকলের প্রতি মানবিক আচরণ ও সম্মান প্রদর্শনের মানসিকতায় বাহিনীকে গড়ে তোলা।

>> স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিজিবিসহ অধীনস্থ সব বাহিনীর সদস্যদের সুবিধা-অসুবিধা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় আন্তরিকভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির আগেই কর্তৃপক্ষকে আইনসম্মত ও সম্মানজনক উপায়ে তার সমাধান খুঁজে বের করা।

>> বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে মর্যাদার পার্থক্য যতদূর সম্ভব কমিয়ে আনা। সকলকে আইনানুগভাবে সম্মানের সঙ্গে চাকরি করার সুযোগ সৃষ্টি এবং বিজিবির সদস্যদের পদোন্নতি, বেতন, ভাতা, রেশন, ছুটি, আবাসিক সমস্যা, চিকিৎসা ও সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের সুবিধাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধানে মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ।

>> আইনানুগ কোনো বাধা না থাকলে বিজিবির সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান আচরণ করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার কর্তৃক অধীনস্তদের প্রতি সম্মানহানিকর আচরণ থেকে বিরত থাকা।

>> পিলখানায় নিহত সামরিক, আধা-সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, সেনা কর্মকর্তাসহ নিহতদের সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের আর্থিক, সামাজিক ও পারিবারিক নিরাপত্তা বিধানে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা।

>> সামরিক কর্মকর্তাসহ নিহতদের সম্মানে পিলখানাসহ দেশের সব সেনানিবাস, বিজিবির সব সেক্টর হেড কোয়ার্টারে নামফলক নির্মাণ করা।

>> পুনর্গঠিত বিজিবি সংবিধান ও নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে দেশ-প্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সাথে দেশের সীমান্ত রক্ষাসহ তাদের উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পেশাদার বাহিনী হিসাবে পালনের মাধ্যমে বিজিবির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং দেশের সীমান্তরক্ষী হিসাবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিজিবিকে শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

>> সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীকে অপারেশন ডাল ভাতের মতো কোনো আর্থিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত না করা এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ‘ঘটনার পিছনের ঘটনা’ উৎঘাটন করতে তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

>> নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সমাজের প্রতিটি স্তরে অসম প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান। তাই আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নীতিশাস্ত্রের অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক করা।

> বসবাস উপযোগী উন্নত ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুশাসনে শিশুদের চরিত্র গঠনে বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করা। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক নীতিশাস্ত্র শিক্ষাদান অতি জরুরি।

বিচারক নজরুল ইসলামের ১১ সুপারিশ

>> সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসাবে বিজিবি সদস্যদের সম্মানহানি ঘটায়, এমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ না করা।

>> কোনো সমস্যা দেখা দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি কর্তৃপক্ষকে তা সমাধানে যত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

>> কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলে তা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।

>> কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পদক্ষেপ গ্রহণ।

>> বিজিবি সদস্যদের পাওনা টিএ/ডিএ বিল যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করা।

>> ছুটিসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করা।

>> দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অসদাচরণের জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ।

>> অফিসার এবং সেনাদের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভাষা ও আচরণ পরিহার করতে হবে।

>> পিলখানার অস্ত্রাগার কঠোর নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

Pin It