পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও সমাজের বিভিন্ন পরিসরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন নারী তার জীবন পরিক্রমায় শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ঘটে আপনজনের দ্বারা। তাই নারীর প্রতি সংঘটিত সকল ধরনের নির্যাতন নির্মূল করার প্রত্যয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রয়োজন পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাজ থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও পালিত হয়েছে ১৬ দিনব্যাপী (২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর) প্রচার অভিযান। এরই অংশ হিসেবে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি শামসুল হক টুকু। বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টি-সেক্টরাল প্রকল্পের পরিচালক ড. আবুল হোসেন, জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম হেড আন্না মিনজ, ডিএফএটির আসিফ কাশেম, ডিএফআইডির আনোয়ারুল হক, প্রসিকিউটর নূরজাহান, বিএনডব্লিউএলএ পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের চেয়ারপারসন সানজিদা আক্তার, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর উম্মে সালমা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি, যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশু, নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সোহানুর রহমান, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, ডেন্টাল স্পেশালিস্ট হাসনে আরা বেগম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী বনশ্রী মিত্র, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নিশাত সুলতানা প্রমুখ।
গোলটেবিল আলোচনায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের হেড সেলিনা আহমেদ। তিনি বলেন, নারী নির্যাতনকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যা মনে করে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। কারণ, এর ভুক্তভোগী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নিজেও। যে পরিবারে নারী নির্যাতন হয় সে পরিবারের শিশুরা শিক্ষা, দীক্ষা ও সামাজিকভাবে অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়ে। এছাড়া যে ছেলেশিশুরা নির্যাতন দেখে বড় হয় তারা ভবিষ্যতে নির্যাতকের ভূমিকা পালন করে। নারী নির্যাতনকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি দায়ী আমাদের নীরবতা এবং পুরুষদের ইতিবাচক ভূমিকার অভাব।
শামসুল হক টুকু বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া পৃথিবীর কোনো কিছুই ঘটেনি। বাংলাদেশেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া নারী-পুরুষ ভেদাভেদ, উভয়পক্ষে সাংঘর্ষিক অবস্থা নিরসন হবে না। এ জন্য জনসচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত করা। এখানে পুরুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা না হলে আজ বিশ্বে বাংলাদেশ অন্যতম মানবিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো। বর্তমান সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে উল্লেখ করে টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ, ৩২ কোটি হাত। তাই নারীর ক্ষমতায়নে সবাই মিলে কাজ করব। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকেও অশিক্ষিত রাখতে চায় না সরকার। প্রধানমন্ত্রী নারীকে উদ্বুদ্ধকরণ, ক্ষমতায়ন, তাদের অধিকার বাস্তবায়নসহ নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাংলাদেশ পুরুষশাসিত হলেও নারীর প্রাধান্য অনেক। নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশে আর কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটবে না। এজন্য প্রয়োজন পারিবারিক অনুশাসন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, যারা নারীর প্রতি বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে, তারা মানুষ না। মানুষরূপী পশু। আমরা পুরুষশাসিত সমাজ চাই না। এর বদলে চাই বিবেক, মনুষ্যত্ব ও মানবিকতাবোধসম্পন্ন একটা সমাজ। এক্ষেত্রে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশে যে ১১ হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে, এই ক্লাবগুলোর মাধ্যমে তরুণরা সচেতনতা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় টিম গঠন করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, নারী-পুরুষে ভেদাভেদ দূর করতে, সহিংসতা দূর করতে পরিবারের মানুষদের কাউন্সেলিং করাতে হবে। কোনো ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষের ভূমিকা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা দখল করে আছে পুরুষতন্ত্র। সমস্যার সমাধান চাইলে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। আমরা এটাকে শুধু পুরুষ বা নারীর সমস্যা হিসেবে দেখি না, এটা মানবতার সমস্যা। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে দেশে একদিন নতুন মানবতার সৃষ্টি হবে। সবাই এগিয়ে যাব, দেশকে এগিয়ে নেব।
ড. আবুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীর অবদান এবং নারীসমাজের ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু নারীর ওপর সহিংসতাসহ নারী নির্যাতন এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দেশের সমাজ ব্যবস্থায় এখনও বিদ্যমান। বাল্যবিয়ে, বহুবিবাহ, যৌতুক, তালাক, অ্যাসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু পাচার, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ এবং পারিবারিক নির্যাতনের মতো ঘটনা সমাজে এখনও ঘটছে। এজন্য এ সহিংসতা প্রতিরোধে নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আন্না মিনজ বলেন, উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও শুধু নারীর প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতনের আধিক্যের কারণে বাংলাদেশ ক্রমাগত সামগ্রিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে পড়ছে এবং বিঘ্নিত হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন। তাই অগ্রগতির অব্যাহত ধারা বজায় রাখতে হলে নারী নির্যাতন কমিয়ে আনার বিকল্প নেই।
আসিফ কাশেম বলেন, একজন পুরুষ হিসেবে আমি দোষী, লজ্জিত। নারীর অধিকার রক্ষায়, সহিংসতা রোধে একজন পুরুষ হিসেবে আরেকজন পুরুষের সঙ্গে আলাপ করা দরকার। আমরা পুরুষরা মূলত রাজনীতি বা খেলাধুলা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলি। অথচ নারী-পুরুষের সমতা, নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে পুরুষদের বেশি আলাপ করা প্রয়োজন। আরেকটা ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট হলো- প্রতিটি বাড়িতে বোনদের ভালো রাখার বিষয়টি পুরুষদের মাথায় এলেও স্ত্রীর বিষয় নিয়ে কেউ ভাবে না।
আনোয়ারুল হক বলেন, ক্ষমতা হচ্ছে একজন আরেকজনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করা, চেপে ধরা। এ ক্ষমতায়নের ধারণা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। মানুষের সম্পর্কগুলোর বৈচিত্র্য নিয়ে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগ করা দরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
অ্যাডভোকেট নূরজাহান বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আমার বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু স্বামীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জন্য আজ আইনজীবী হতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে পারছি। নারীর উন্নয়নে অনেক পুরুষের অবদান আছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আবার এই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণেই মেয়েরা অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরও সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তৌহিদা খন্দকার বলেন, একটা স্লোগান আছে- নারী পুরুষের সমতা, রুখতে পারে সহিংসতা। তাই সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারীর অধিকার কিংবা সমতা কিন্তু পুরুষের করুণা নয়। তবে সংবিধান নারীকে সমতার সেই সুযোগ দিলেও নারীরা এখনও বঞ্চিত। তিনি বলেন, ডিভোর্সও এক ধরনের সহিংসতা। আইনে সমতা দেখানো হলেও ধর্মীয় ব্যাখ্যায় নারীরা দেনমোহর থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ বিয়ের সময়েই তা নিকানামায় ‘উসুল’ বলা হয়। এমনকি ডিভোর্সপ্রাপ্ত নারী উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে চাইলে আইনের কারণে তার সন্তানদের নিয়ে যেতে পারেন না। কারণ এতে বাবার অনুমতি প্রয়োজন হয়। অথচ ডিভোর্সের পর কিন্তু ওই বাবা সন্তানদের কোনো খোঁজ নেননি। তাই আইনের সংশোধন জরুরি।
হাসনে আরা বেগম বলেন, ঘুরেফিরে সবকিছুতেই নারীকে দাঁড় করানো হয়। অর্থাৎ এই ‘ব্লেমিং’ সংস্কৃতি থেকে মানুষকে বের হয়ে আসতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য প্রথমে সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন জরুরি।
নিশাত সুলতানা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষদের জন্য একটি ‘রোল মডেল’ তৈরি করা যেতে পারে। এই রোল মডেল তৈরিতে গণমাধ্যম কিংবা সমাজকর্মীও হতে পারেন। এই ‘রোল মডেল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
বনশ্রী মিত্র বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার ইস্যুগুলো নারীর সমস্যা হিসেবে যতদিন দেখা হবে ততদিন এ সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, অতীতের সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ আইন ও বাল্যবিয়ের সংস্কার আন্দোলন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায়ই করেছেন। তারা কিন্তু পুরুষ ছিলেন। তবে এখনকার পুরুষরা সেখান থেকে অনেক দূরে সরে এসেছেন।
ওয়াহিদা বানু বলেন, সমাজে নারীর অংশগ্রহণে কঠিন পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। সবক্ষেত্রে পুরুষতান্ত্রিক বা পিতৃতান্ত্রিক বাধা কাজ করছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে প্রতিটি কাঠামোতে সংবেদনশীল হতে হবে।
সোহানুর রহমান বলেন, আমাদের সামাজিকভাবেই শিক্ষা দেওয়া হয় পুরুষরা নারীর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান। এরফলে গ্রামের কোনো ছেলেকে ‘নারী-পুরুষের সমান অধিকারের’ কথা বললে তাদের চোখ বড় হয়ে যায়। তাই পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টি নতুন প্রজন্মকে শেখাতে হবে।
শাহনাজ মুন্নী বলেন, অ্যাসিড-সন্ত্রাস দমনে গণমাধ্যমের অনেক বড় ভূমিকা ছিল। এখন সেভাবে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। সিনেমা ও নাটকে নারীর পক্ষে কথা বলতে হবে। তবে বর্তমানে কোনো নারী সমাজে ভূমিকা রাখলে সিনেমা ও নাটকে তাকে প্রতিবাদী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সমাজকে বিনির্মাণ করতে হবে।
মাহফুজ মিশু বলেন, স্বামী কম বেতনে চাকরি করলেও পরিবারে নিজেকে ক্যাপ্টেন মনে করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমেও নারীরা পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের জন্য বড় প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। এতেই মনে হয় নারীরা বর্তমান সমাজে নিরাপদ নয়।
মনোয়ারা বেগম বলেন, দেশের শুধু ভূমি স্বাধীন হয়েছে। তবে সবক্ষেত্রে স্বাধীনতার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। যারা রাজনীতি করেন তারা এর পরিবর্তন চান। কিন্তু কীভাবে যেন আটকে আছে? মায়েরা তাদের মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের কথা বেশি চিন্তা করেন। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
নাসিমা আক্তার জলি বলেন, দেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
উম্মে সালমা বলেন, পুরুষের সঙ্গে নারীর কাজের পরিধি আরও বাড়াতে হবে। কারণ, সব পুরুষই নারীর সঙ্গে সহিংস আচরণ করে না। এ ছাড়া পুরুষের পরিবর্তনের অনেক সুযোগ আছে। তারা চাইলে নারী নির্যাতন সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
সানজিদা আক্তার বলেন, জেন্ডার শব্দটা শুধু নারীর জন্য চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে জেন্ডার বিষয়ে অনেক প্রশিক্ষণে পুরুষের উপস্থিতিই বেশি থাকে।