কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অব্যাহত সহায়তার অংশ হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং অন্যান্য সরঞ্জাম প্রদান করেছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
গতকাল বুধবার (৮জুলাই) বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমদের কাছে এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম হস্তান্তর করেন।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে পিপিই সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পিত কার্যক্রমের চতুর্থ অনুদান। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র শুধু স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডি’র মাধ্যমেই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ৪৩.৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এছাড়াও ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার ও সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর মাধ্যমেও সাহায্য ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
হস্তান্তরকৃত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে-৪ হাজার কেএন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০০ মিলিলিটারের ৩ হাজার ২০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৪ হাজার জোড়া সার্জিক্যাল গ্লাভস, ৫৫০ পাউন্ড গুড়া ব্লিচ, ২২ টি জীবাণুনাশক ব্যাকপ্যাক স্প্রেয়ারস, ৭০০টি মুখমণ্ডল ঢাকার শিল্ড এবং ২৫টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। সবগুলো উপকরণ স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কেনা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে দেশব্যাপী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের দেওয়া পিপিই পুলিশ বিভাগের সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষিত রেখে বাংলাদেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন: পর্যায়ক্রমে সকল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী বাঁধ প্রকল্প: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এই মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য, মানবিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা কর্মকাণ্ডে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওদের ১.৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশি সংস্থাগুলোকে দেশব্যাপী কাজের জন্য সহায়তা করে চলেছে যা বিগত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহায়তার সাথে যুক্ত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সম্প্রতি বাংলাদেশ কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তাদের, কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের ফার্স্ট রেসপন্ডারদের পিপিই দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করতে এবং দুই দেশের মধ্যকার গভীর সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়।