প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন বরাবরের মতই ‘প্রতিযোগিতামূলক’ হবে; তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেন প্রাণহানি না হয়।
মঙ্গলবার উপজেলা ভোটের তৃতীয় ধাপের রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, “নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। এদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সারা জীবনব্যাপি যেরকম প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে, এবছরও কিন্তু তেমনিভাবে প্রতিযোগিতামূলক হবে। তেমনিভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে।”
তবে সেই প্রতিযোগিতার মধ্যে বিগত উপজেলা নির্বাচনগুলোতে অনেকের জীবনহানি ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেন সিইসি।
তিনি বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এগুলো সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে। নির্বাচনকে ঘিরে যেন প্রাণহানি না ঘটে। আপনারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে হলেও সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটলে মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন। কোনো প্রাণহানি যেন না ঘটে, হতাহত না হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
একটি জীবন একটি নির্বাচন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না মন্তব্য করে সিইসি বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক হয়, এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে; এটা দেখতে হবে।”
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নূরুল হুদা বলেন, যারা কাজ করেন তাদের প্রতি তিনি সবসময় আস্থাশীল।
“কাজ করতে গিয়ে হয়ত ভুলভ্রান্তি হতে পারে অনাকাঙ্খিতভাবে। … অনেকেই স্পর্শকাতর নির্বাচন পরিচালনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন। তাদের হাতে নির্বাচন কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না।”
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনারদের সবাই উপস্থিত ছিলেন এ ব্রিফিংয়ে।
৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১০ মার্চ শুরু হচ্ছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মোট পাঁচ ধাপে জুনের মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করার সূচি সাজিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ২৪ মার্চ।