পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়।
আজ রবিবার এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে গত বুধবার তিনি জানান, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা আমরা চাই না। পেঁয়াজের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক তাই প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করব।
গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হচ্ছে। এছাড়াও আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করবো। ফলে খুব শিগগিরই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি টিম আমদানির স্থানগুলোতে যেমন, বেনাপোল ও হিলিতে যাবেন। সেখানে তারা দেখবেন, আমদানির কী অবস্থা।
উল্লেখ্য, দাম বাড়ার প্রবণতা দেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি মাসের শুরুর দিকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি পাঠিয়ে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়। কিন্তু এনবিআর তখন অনুরোধ রাখতে চায়নি। ১৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তা নাকচ করে দেয়। এখন পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হয়।
কিন্তু এর মধ্যেই ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে ভারত থেকেই। এক বছর আগে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় এর দর সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা হয়েছিলো।