সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব কিংবা এই কাজে তৎপর চক্রগুলোকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা জড়িত হলে চাকরিচ্যুত করা হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষার জন্য এমন নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আগামী শনিবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন। এবার ১০ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। মোট ৩ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র আনার কাজে কালো গ্লাসযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য নিয়োগ করা ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) ট্রেজারি বা থানা থেকে কেন্দ্রসচিবসহ সব সেট প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশি পাহারায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
পরীক্ষা শুরুর মাত্র ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেটকোড (নির্ধারিত সেট) ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কেন্দ্রসচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের মোড়ক খুলতে হবে। পরীক্ষা নিয়ে বেআইনি কাজ করলে পরীক্ষাকেন্দ্র বাতিল, দোষী শিক্ষক বা কর্মকর্তা সরকারি হলে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে এমপিও (বেতন বাবদ মাসিক অনুদান) স্থগিত করে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক প্রমুখ।