লিংকনের বার্ট সার্টক্লিফ ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। দলের অর্ধেক খেলোয়াড়দের যাত্রাপথে রেখে তড়িঘড়ি করে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামা বাংলাদেশ দল আজ ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছিল মুমিনুল আর লিটনকে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ম্যাচে শুরুটা হয়েছে ভয়াবহ। দলীয় ১১ ও ১২ রানের মাথায় ফিরে যান মুমিনুল হক ও লিটন দাস। হ্যাজেলডাইনের বলে ফিলিপসকে ক্যাচ দেন মুমিনুল। আর লিটন আউট হন ম্যাকপেকের বলে জিৎ রাভালের ক্যাচ হয়ে। শুরুর বিপর্যয় কোথায় সামাল দেবেন, উল্টো সৌম্য ফেরেন ২৭ রানের মাথায়, ব্যক্তিগত ১ রানে। হ্যাজেলডাইনের বলে ফন ওরকমের ক্যাচ হন তিনি।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৩১ রানের মাথায় আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। ১০৮ রানের জুটি গড়ে পাল্টা লড়াই করেন দুই অভিজ্ঞ সেনানী। মুশফিক ১৩৯ রানের মাথায় এসএম সোলিয়ার বলে হ্যাজেলডাইনের ক্যাচ হয়ে বিদায় নেন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে তিনি ৬১ বলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৬২ রান।
মাহমুদউল্লাহ ৮৮ বলে ৭২ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার। সাব্বির রহমানের সঙ্গে তিনি গড়েন ৩৫ রানের আরও একটি জুটি। দলীয় ১৭৪ রানের মাথায় ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সাব্বিরের ইনিংসটি বাংলাদেশকে নিয়ে যায় সম্মানজনক সংগ্রহে। তিনি ৪১ বলে ৪০ রান করেন ৬টি চারের মারে। তবে সাব্বিরকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে শেষ দিকে নাঈম হাসানের ২৩ বলে ১৭ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ আড়াইশর কাছাকাছি পৌঁছে।
২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড একাদশের ব্যাটসম্যানরা পাত্তাই দেননি মোস্তাফিজ-শফিউলদের। ১১৪ রানের ওপেনিং জুটি দলকে এগিয়ে দেয় অনেক দূরই। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম আঘাতটি হানেন নাঈম হাসান। উইকেটের পেছনে রাভালের ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। ৬৩ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এরপর ৯২ করা ফ্লেচারকে এলবিডব্লু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ রানে মাহমুদউল্লাহর বলে সোলিয়া ক্যাচ দেন লিটন দাসকে। এই মুহূর্তে ১৩ রান নিয়ে উইকেটে আছেন রবীন্দ্র। সঙ্গে আছেন অ্যালেন। জয়ের জন্য ১৪.৩ ওভার থেকে আরও ৬৫ রান দরকার নিউজিল্যান্ড একাদশের।