রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইতোমধ্যে প্রস্তুত ৪৮০টি কেন্দ্র। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কমিশন। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয় নির্বাচনের সরঞ্জাম। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ১৮ জন। গাজীপুর সিটিতে মোট ভোট কেন্দ্র ৪৮০টি।
ভোটের আগের বুধবার দিন নিরাপত্তার জন্য সকালে ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমবেত হয় গাজীপুর মহানগরের বরকত স্টেডিয়ামে। সেখানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে নানান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা।
এ সময় মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ভোটের দিন সব প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভোটের দিন পুলিশকে সর্বোচ্চ কঠোর ভূমিকা পালনের নির্দেশও দেন তিনি।
নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫১টি আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।