প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
পরে দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
সেই হিসেবে এবার প্রাথমিকে পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ পয়েন্ট। আর ইবতেদায়ীতে পাসের হার কমেছে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ পয়েন্ট।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক সমপানীতে এবার ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন পাস করেছে।
আর ইবতেদায়ী সমাপনীতে অংশ নেওয়া ৩ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
প্রাথমিক সমাপনীতে উত্তীর্ণদের মধ্যে ৯৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৫ দশমিক ৬১ শতাংশ ছাত্রী। আর ইবতেদায়ী সমাপনীতে ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছে।
প্রাথমিক সমাপনীতে আট বিভাগের মধ্যে বরিশাল বিভাগের পাসের হার সর্বাচ্চ, ৯৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
জেলার হিসেবে গাজীপুরে পাসের হার সবথেকে বেশি, ৯৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। ভোলার দৌলতখান উপজেলায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
অন্যদিকে ইবতেদায়ী সমাপনীতে আট বিভাগের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি, ৯৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। নওগাঁ জেলায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ৮৩টি উপজেলায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
সেই হিসেবে এবার এ পরীক্ষায় পাসের হারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। তাদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৯৫ জন জিপিএ-৫ পায়।
বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ বছর মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বেলা ১২টা থেকে তারা তাদের ফলাফল জানতে পারবে।