উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জনমত জরিপ চালাবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকেও মতামত নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর চারজন সদস্য বলেছেন, জনমত জরিপের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য প্রার্থী বাছাই করবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উপজেলা নির্বাচনের জন্য উপযোগী হবে। সেই ক্ষেত্রে মার্চ কিংবা এপ্রিলের পর ওইসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদের মতো দলীয় প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে এই নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আগামী মার্চ থেকে কয়েক ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জনমত জরিপের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় ঘরানার বাইরে সরকারি ও বেসরকারিভাবে এই জরিপ কার্যক্রম চালানো হবে বলে নেতারা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনমত জরিপের মাধ্যমে জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করবেন। এর আগে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা সংগ্রহ করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় একই তথ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ চট্টগ্রাম ও সিলেট, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ঢাকা ও ময়মনসিংহ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক রংপুর ও রাজশাহী, আবদুর রহমান বরিশাল ও খুলনা বিভাগের প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকতে পারেন। দায়িত্বপ্রাপ্তরা সার্বক্ষণিকভাবে দলের জেলা এবং উপজেলা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা দেবেন আট সাংগঠনিক সম্পাদক। এর মধ্যে আহমদ হোসেন সিলেট, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ময়মনসিংহ, বি এম মোজাম্মেল হক রংপুর, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বরিশাল, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম চট্টগ্রাম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন খুলনা, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজশাহী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ঢাকা বিভাগের কার্যক্রম দেখভালের বেলায় সহায়তা দিতে পারেন।