বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ এক যন্ত্রে পরিণত হয়েছে ভেন্টিলেটর। করোনায় আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে হলে প্রয়োজন হতে পারে ব্যয়বহুল এই যন্ত্রটি। তবে এবার সেটিরই এক প্রোটোটাইপ ভার্সন তৈরি করা হলো বাংলাদেশে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশে তৈরি ভেন্টিলেটরগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মহামারি মোকাবেলায় আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক্স এবং ওয়ালটনের কারিগরি সহযোগিতায় দেশেই তৈরি হল বিশ্বমানের পিবি ৫৬০ মডেলের স্পেসিফিকেশনে ‘ডব্লিউপিবি ৫৬০ ভেন্টিলেটর’।
ওয়ালটন মোট তিনটি মডেলের ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ ভার্সন তৈরি করে। খুব শিগগিরই এগুলো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে প্রেরণ করা হবে। তাদের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই ওয়ালটন পরীক্ষামূলক ও বানিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ফাংশনাল প্রোটোটাইপের তিনটি ভেন্টিলেটরের মধ্যে একটি ওয়ালটন মেডট্রনিক্সের সঙ্গে তৈরি করেছে। অন্য দুটি ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবনী। মেডট্রনিক্সের সঙ্গে তৈরিকৃত এ ভেন্টিলেটরের নাম দেওয়া হয়েছে ডব্লিউপিবি ৫৬০। আর ওয়লটনের নিজস্ব উদ্ভাবনে তৈরিকৃত ভেন্টিলেটরের নাম ‘ওয়ালটন কোভিড বিল্ড ভেন্টিলেটর ২০২০’ বা ডব্লিউসিভি-২০ এবং ডব্লিউএবি-২০’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি করোনা মহামারি খুব দ্রুতই শেষ হবে। কিন্তু মহামারি দীর্ঘ হলে আমরা দেশে তৈরি মানসম্মত ভেন্টিলেটরের দ্বারা চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব থেকে ১৮টি ভেন্টিলেটর তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মান যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
পলক আইসিটি বিভাগের উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মেডট্রনিক্স এবং ওয়ালটনের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান।
আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, ওয়লটনের ভেন্টিলেটর প্রকল্প প্রধান প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, লিয়াতক আলী, ওয়ালটন এর পরিচালক লিয়াকত আলী, মেডট্রনিক্সের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন।
ওয়ালটনের প্রতিনিধি গোলাম মোর্শেদ বলেন, এফডিএ সার্টিফাইড এ ভেন্টিলেটরটির যন্ত্রাংশের যোগান দিচ্ছে মেডট্রনিক। তারা পাঁচটি দেশের পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এ ভেনিটলেটরের সংযোজন হবে ওয়ালটনের কারখানায়।