বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসভবনে হামলার ঘটনায় জড়িত মহানগর উত্তরের থানা পর্যায়ের ১২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে মহানগর উত্তর বিএনপির দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহাসচিবের বাসায় হামলার ঘটনায় জড়িত নেতাদের বিষয়ে তদন্ত করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব প্রকার পদবি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি-সিনিয়র সহসভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এই বহিষ্কারাদেশে স্বাক্ষর করছেন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- দক্ষিণখান থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ফুল ইসলাম, একই থানার সদস্য নাজিম উদ্দিন দেওয়ান ও আমজাদ হোসেন। দক্ষিণ খান থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, একই ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছ। উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক এম এ হান্নান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম, মতিউর রহমান মতি, দফতর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশীদ ও উত্তর খান থানা বিএনপির সদস্য নূর মোহাম্মদ।
১০ অক্টোবর বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসার সামনে শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মহাসচিবের বাসা লক্ষ করে ইটপাটকেল ও ডিম ছুড়ে মারেন। তারা যুবদল নেতা এসএম জাহাঙ্গীরকে ঢাকা-১৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদ জানান।
তার আগের দিন ৯ অক্টোবর দলীয় মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-১৮ আসনে যুবদলের মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেন। ওই আসনে দলের আরও ৮ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা সবাই মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী এম কফিল উদ্দিনের সমর্থক। তবে এ বিষয়ে কফিল উদ্দিন নিজে কিছু জানেন না বলে জানান।
মহাসচিবের বাসায় হামলার ঘটনায় দলীয় নেতাদের বহিষ্কার করা হলেও শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ঘটনায় সরকারের মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও এ হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। তবে দলীয় নেতাদের বহিষ্কারের পরে বিষয়টি খোলাসা হলো।