ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করার প্রস্তুতি সম্পন্ন

bdmorning1575909150520200711211345

২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শনিবার (১১ জুলাই) ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ সোস্যাইট ফর হিউম্যান রিসোর্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল জব ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। মার্চে করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার সময় চ্যালেঞ্জ ছিল আমরা সারা দেশে মানুষকে নেটওয়ার্ক দিতে পারবো কিনা। আমরা পৃথিবীর সমানতালে ডিজিটাল যাত্রা চালিয়ে যেতে পেরেছি। বিশ্বের শ্রেষ্ঠটি আমরা দিতে পারিনি সত্য, কিন্তু জীবন যাত্রা চালিয়ে নিতে পেরেছি।

দেশের মোবাইল অপারেটরসমূহকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ৪জি সংযোগ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পাঠ গ্রহণ করছেন।

করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শতগুণ বেড়ে যাবে বলে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের আগের সময়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি দুর্যোগে সুযোগও সৃষ্টি হয়। আমাদের সামনে প্রযুক্তির অসীম সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রস্তুত। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯১-৯৬ সালে তো কাজ করেছেনই, এখন গত ২০০৯ সাল থেকে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা মোবাইল উৎপাদন করছি, কম্পিউটার উৎপাদন করছি এবং বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছি। নাইজেরিয়া ও নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশ মেড ইন বাংলাদেশ কম্পিউটার আমদানি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল রপ্তানি হচ্ছে।

গত একযুগের বাংলাদেশ এক অভাবনীয় বাংলাদেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের তিন হাজার ৮০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৭৭টি দুর্গম অঞ্চলের সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। দুর্গম চরাঞ্চল ও দ্বীপে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, কায়িক শ্রমের সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির সংযোগ ঘটিয়ে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করাটা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য অপরিহার্য। সেটি না পারলে দেশে এবং দেশের বাইরে কায়িক শ্রমে নিযুক্ত মানুষগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকা খুবই কঠিন হবে।

দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির ঘাটতি পূরণে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাশাপাশি উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য উচ্চ শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বেগবান করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ট্রেডবডিসমূহের প্রত্যেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রণী সৈনিক।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএস সভাপতি শহিদুল মনির, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, সেক্রেটারি তৌফিক আহমেদ ও ড্যাফোডিল পরিবারের স্কিল জব বিষয়ক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বক্তব্য দেন।

Pin It