কোভিড-১৯ রিলিফ প্ল্যানের আওতায় সদস্য ২১১ দেশকে ১৫০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে ফিফা। এই খাত থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ১৫ লাখ ডলার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার পর এ অর্থ সাহায্য পেতে উদ্যোগ নেবে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় গত মার্চ থেকে ফিফা ও এএফসির প্রতিযোগিতাগুলো স্থগিত করে দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতাগুলো আগামী অক্টোবরে শুরু হবে।
গত ২৫ জুন কোভিড-১৯ রিলিফ প্ল্যানের আওতায় সদস্য দেশগুলোকে মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেতে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফিফা। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়টি গত বুধবার সদস্য দেশগুলোর ফেডারেশনগুলোকে জানিয়েছে তারা।
প্রতিটি ফেডারেশনকে ১০ লাখ ডলার ও মেয়েদের ফুটবলের জন্য আলাদা করে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। দুটি খাত থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
“১ মিলিয়ন ডলার প্রতিটি দেশকে দেওয়া হবে। দুই কিস্তিতে। প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ম নীতি মেনে খরচ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে ফিফা সন্তুষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিবে। কিভাবে অর্থ পাওয়া যাবে ও খরচ করতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।”
“সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার মেয়েদের ফুটবলের জন্য দেবে। এ ব্যাপারে তথ্য উপাত্ত, তাদেরকে পাঠাতে হবে। তাদের সেক্রেটারিয়েট বা নির্দিষ্ট কমিটি এই ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়ার পর এই অর্থ দেওয়া হবে।”
ফিফার এই অর্থ সাহায্য খেলোয়াড়, ক্লাব থেকে শুরু করে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবাইকে দেওয়ার পরিকল্পনা বাফুফের আছে বলেও জানান সোহাগ।
“হতে পারে খেলাধুলা পুনরায় শুরু করা, বা পুনরায় শুরুর থেকে যে প্রটোকলগুলো মেনটেইন করতে হয়, সেখানে ব্যয় করা বা ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ বা জাতীয় দল সংক্রান্ত কার্যক্রম, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিষয়ে খরচের ব্যাপারে জোর দিয়েছে ফিফা।”
“আমাদের যারা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার রয়েছে, ডিএফএ, ক্লাব, রেফারি, খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, সংগঠক সবাইকে এর আওতায় আনার জোর চেষ্টা থাকবে আমাদের। ঈদের পর এ বিষয়ে ফিফার সঙ্গে বসব। তখন আমরা আমাদের ক্রাইটেরিয়াগুলো তুলে ধরতে পারব। অ্যাপ্লাই করতে পারব।”