বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের শিরোপা অধরাই রয়ে গেছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে, ফিলিস্তিন গড়েছে দারুণ কীর্তি-টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। প্রথমবার এ প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে মন্দ করেনি বুরুন্ডি; রানার্সআপ হয়েছে আফ্রিকার দলটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হওয়া এ আসরকে রাঙিয়ে রাখতে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। অতিথি হিসেবে এনেছিল ব্রাজিলের সাবেক গোলরক্ষক জুলিও সিজারকে। উদ্বোধন সাদামাটা হলেও সমাপ্তির রং বাড়ল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে। শুধু জেমি ডের দলই পারল না আলো ছড়াতে।
ফিলিস্তিনের দারুণ কীর্তি
বুরুন্ডিকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ জয়ের কীর্তি গড়ল ফিলিস্তিন। গতবার তাজিকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল দলটি। বঙ্গবন্ধু কাপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ-এই দুই নাম মিলিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতাটির মোট ৬ আসরে মালয়েশিয়া দুইবার শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৬-৯৭ ও ২০১৫ সালে।
আক্ষেপই সঙ্গী বাংলাদেশের
২০১৫ সালে রানার্সআপ হওয়ার সেরা সাফল্যকে এবার ছুঁতেও পারেনি বাংলাদেশ। শক্তিশালী ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হারের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল জেমি ডের দল।
কিন্তু বুরুন্ডির বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। এ নিয়ে টানা তিনবার সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার আক্ষেপ সঙ্গী হলো বাংলাদেশের।
সর্বোচ্চ গোলদাতা জসপিন
দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৭ গোল করে ষষ্ঠ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন এনশিমিরিমানা জসপিন।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরিশাসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন বুরুন্ডির এই ফরোয়ার্ড। সিশেলসের বিপক্ষে করেছিলেন এক গোল। এরপর সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিতে একাই সব গোল করেন তিনি।
স্বাগতিক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ (২টি) গোলদাতা মতিন মিয়া। দুটি গোলই এই ফরোয়ার্ড করেছিলেন গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারানো ম্যাচে।
সবচেয়ে বেশি গোল দেওয়া দল বুরুন্ডি
সব প্রতিপক্ষের জালেই বল পাঠিয়েছে বুরুন্ডি। সবমিলিয়ে করেছে ১১ গোল। মরিশাসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শুরু। পরের ম্যাচে সিশেলসের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়। সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফ্রিকার দলটি জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ফিলিস্তিন সব মিলিয়ে করে ৮ গোল।
গোলের খাতা খুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা
গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া শ্রীলঙ্কা এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছয় দলের মধ্যে একমাত্র দল, যারা গোলের খাতায় আঁচড় কাঁটতে পারেনি। দুই ম্যাচে গোল হজম করে ৫টি। ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হারের পর বাংলাদেশের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারে তারা।