টপ অর্ডারের হুড়মুড়িয়ে আউট হওয়ায় বদল আসেনি। একজনের ক্রিজে দাঁড়িয়ে যাওয়া, অন্যদের সাজঘরের ফেরার পাল্লায় ছেড় পড়েনি। ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দলের খুব চেনা দৃশ্য এটি। ছেদ পড়েছে এক জায়গায়। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১০ রান করা তামিমের ব্যাট থেকে প্রথম টেস্টে এসেছে সকালের রোদের মতো ঝকঝকে এক সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরিটা নিউজিল্যান্ডে বলে এর গুরুত্ব বেশি। যেভাবে সেঞ্চুরি করেছেন তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে মাহাত্য। ওয়ানডে গতিতে রান তুলেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ২১টি চার আর একটি ছক্কায়। তার ব্যাটিংয়ে ছিল কিউই পেসারদের শাসন দেখার সুখ। বোল্ট-সাউদিদের পেস-গতির বলে মায়াবি পেলব ছুঁইয়েছেন তিনি।
পা বাড়িয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছেন। ব্যাট চালানোর ভঙ্গিতে গড়াতে গড়াতে বলের মাঠ পেরোনো দেখেছেন। স্টেড ড্রাইভ করেছেন, দু’পাশের ফিল্ডারের বলের পেছনে ছোটার নিষ্ঠুর মজা নিয়েছেন। পুল খেলেছেন, মেরেছেন থার্ড ম্যান দিয়ে। মিড উইকেটের ব্যাট বাড়িয়ে তার সুন্দরতম শট খেলেছেন।
দারুণ ব্যাটিং করে টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। যার চারটি আবার বিদেশের মাটিতে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পরপর দুই সেঞ্চুরি করা তামিম তো মধ্যে দেশের বাইরে সেঞ্চুরি করা ভুলেই গিয়েছিলেন। সেটি আবার নিউজিল্যান্ডে করে দেখালেন তিনি। ইংল্যান্ডে তরুণ তামিম ব্যাটিংয়ের আগ্রাসন দিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু এই তামিম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন অভিজ্ঞতার ভান্ডার থেকে তার এক একটা নিপুন শট বের করে।
আউট হয়ে হয়তো আফসোস হতে পারে বাংলাদেশ ওপেনারের। এতো সহজে ব্যাটিং করেছেন অথচ ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। থামতে হয়েছে ১২৬ রান করে। আক্ষেপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে অন্য ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। তামিম এই মিছিলটা শেষ পর্যন্ত ক্রিজে দাঁড়িয়েও যদি দেখতেন দলের সংগ্রহটা বাড়ত।