চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে ফ্রান্সের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করেছে। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত প্যারিসের ইলে-ডে শহরে কারফিউ জারি থাকবে। খবরটি আল জাজিরার।
ট্রাফিক পুলিশের হাতে ১৭ বছরের এক কিশোর নিহত হওয়ার পর তার প্রতিবাদ জানিয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নামেন।
মঙ্গলবার ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয় উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ১৭ বছরের কিশোর নেহাল এম। তার মৃত্যুতে যারা প্রতিবাদে নেমেছেন পুলিশ তাদের দমাতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করছে।
যেখানে ওই কিশোরকে গুলি করা হয় সেখানে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে। তাদর নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিশোরের মা মুনিয়া।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে প্যারিসে রয়েছে ৫ হাজার।
বিক্ষোভ দমাতে স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে বাস এবং ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক নাতাসা বাটলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছে। কিন্তু পুলিশে ভুল উপায়ে বিক্ষোভ দমানোর চেষ্টা করছে।
নেহাল এম কে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে তার প্রতিবেশীরা প্যারিস শহরে জড়ো হচ্ছেন। তাদের একটাই দাবি এ হত্যার সঠিক বিচার করতে হবে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন যুবক বলেন, নেহাল কোনো গুন্ডা বা অপরাধী নয় যে তাকে ট্রাফিক পুলিশের গুলি করতে হবে।