প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী ফ্রিল্যান্সারদের কিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় তা নিয়ে কথা বলেন।
একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, “বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক স্মার্ট ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করছে, ভালো কাজ করে, ভালো আয় করে, সুন্দর কাপড় পরে। কিন্তু বিয়ে করতে গেলে অসুবিধা হয়।”
উত্তরবঙ্গের একজনের ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কোটি টাকা আয়ের প্রসঙ্গ টেনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বিয়ে করতে গেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জিজ্ঞেস করে কি কাজ কর, ফ্রিল্যান্সার বললে বলে এটা আবার কি? কেরানি না, অফিসার না, ম্যাজিস্ট্রেট না, পুলিশ না। তুমি কী কাজ কর?
“অথচ ওই ফ্রিল্যান্সার কেরানি বা অফিসারদের কয়েকগুণ বেশি কামাই করে, ইংরেজি ভালো বলে, কাপড় ভালো পরে। কিন্তু বিয়ে পাচ্ছে না।
মান্নান বলেন, “উনি (প্রধানমন্ত্রী) এটা বললেন, এটা দূর করার জন্য উনি বুদ্ধি খুঁজলেন। তারা যে কাজ (ফ্রিল্যান্সিং) করছে, এটার সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি কিভাবে দেওয়া যেতে পারে, জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।”
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন বা সার্টিফিকেট কেউ দিতে পারে কীনা, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আইটি খাতের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন, বলে পরিকল্পনামন্ত্রী।
সিনেমা হল চালু করতে ঋণ
সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে সিনেমা হলগুলোতে আবার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলের মালিকদের জন্য বিশেষ ঋণ তহবিলের ওপর একনেক সভায় গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অনেক সিনেমা হলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হলগুলোতে এখন আর মানুষ যায় না। সিনেমা হলগুলোর মালিকেরা আসে না। কেউ ফেলে দিয়ে গেছে, কেউ বিক্রি করে দিয়েছে। আবার কেউ মাল্টিাস্টোরি বিল্ডিংও করেছে।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিনেমা হলের মালিকরা সবাই মিলে যদি ঋণ চায়, তাহলে তাদের জন্য বিশেষ একটা ঋণ তহবিল করে তাদের ঋণ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।”