বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক এমপি নবগঠিত বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের সুত্রাপুরে সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বাসভবন চম্পামহলের জ্যোতি হলে এক সংবাদ সন্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র গৃহীত হওয়ার পর দলের নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে তাকে দলীয় প্রতীক গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকের এই প্রেস বিফ্রিংয়ের মূল কথা হলো নবগঠিত জেলা বিএনপির কর্মকান্ড ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে। গত ১৫ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে বগুড়া জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। এতে তাকে এবং বগুড়া বার সমিতির সাধারণ সম্পর্ক অ্যাড,সাইফুল ইসলাম ও ফজলুল বারী তালুকদার বেলালকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর সভা সমাবেশ করা হয়েছে। কিন্তু দলের গঠনতন্ত্র ও নিয়মশৃঙ্খলা বিরোধী কিছু বিপথগামী নেতা ও কর্মী আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে মিথ্যাচার করছে। বহিষ্কৃত বিপথগামী এরা কেউ দলের নয়। তারপরেও তারা দীর্ঘদিন দলের সাথে ছিল। তাদের সময় দেয়া হয়েছে। সবকিছু ভুলে ফিরে আসলে তাদের বিষয়ে দল ভেবে দেখবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ৫/৬ মাসের মধ্যে বগুড়া জেলার ২৩ সাংগঠনিক কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে তারেক রহমান মডেলে জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, আহ্বায়ক বিরোধীরা যারা দলীয় কার্যালয়ে তালা মেরেছে। তারাই একটি তালা খুলে দিবে। আমরা চাইনি তালা আবার ভেঙ্গে ভেতরে যাই। কারণ তারা নাটক তৈরি করার ষড়যন্ত্র করছে। তাতে আমরা পা দেইনি। কারণ সেখানে জোর করে ভেতরে ঢুকতে গেলে কোন গোলমাল হলে তাদের উপর দোষ চাপাতে চাইবে।
তিনি বলেন, যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা দলের বিরুদ্ধে তারা নেতার বিরুদ্ধে কথা বলছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম একটি বিতর্কের বিষয়। এই ইভিএমকে যায়েজ করার জন্য সরকার বগুড়া-৬ উপ-নির্বাচন বেছে নিয়েছে। সরকার জানেই বগুড়া থেকে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করবে,তাই বিষয়টি তারা এখানে চালিয়ে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম আর ইসলাম স্বাধীন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।