সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ দাবি করেছেন, বঙ্গবন্ধুর সময়কার উন্নয়নের ধারা তার স্বামী এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ‘এগিয়ে নিয়েছিলেন’।
প্রয়াত এরশাদের জন্য বৃহস্পতিবার যমুনা ফিউচার পার্কে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি ও জাতীয় মহিলা পার্টি আয়োজিত মিলাদ ও দেয়া অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি করেন।
রওশন বলেন, “বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়ন শুরু করেছিলেন। বন্ধবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশের উন্নয়নের এই ধারা এগিয়ে নিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
“হুসেইন মুহম্মদ তার সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আমরা সবাই মিলে পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।”
১৯৭৫ সালে জাতির জনক হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর সেনাপ্রধান করেছিলেন এরশাদকে।
রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়া এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হলে এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। নয় বছর দেশ শাসনের পর গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
জিয়া ও এরশাদ দুজনের ক্ষমতারোহনই অবৈধ ছিল বলে পরে আদালতের রায় আসে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন এবং এরশাদকে নিজের উপদেষ্টা করলেও তার সামরিক শাসনামলকে নিপীড়নমূলক ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলেই চিহ্নিত করে আসছেন।
“পল্লীবন্ধু দেশ ও মানুষের কল্যানে অসংখ্য কাজ করেছেন। তিনি অনেক স্বপ্নই পূরণ করতে পারেননি, আমরা পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করব।”
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জাতীয় মাহিলা পার্টির সভাপতি সালামা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি (শাদ এরশাদ), জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, নুরে হাসনা লিলি চৌধুরী, এম এ মান্নান, এস এম ফয়সাল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান শেরিফা কাদের, নুরুল ইসলাম নুরু, আহসান আদেলুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ।