বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ফাঁসির দণ্ডাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে তাকে আটক করেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মাজেদ চার কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সালেহা বেগম বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে বসবাস করছেন।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা গ্রামের মরহুম আলী মিয়া চৌধুরীর ছেলে ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
হত্যাকাণ্ড শেষে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অপর আসামি মেজর শাহরিয়ারসহ অন্যান্য সেনা সদস্যদের সঙ্গে রেডিও স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি দেশ ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গভবনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী অফিসারদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া গমন করেন।
তিনি সেখানে অন্যান্য অফিসারদের সঙ্গে তিন মাস অবস্থান করেন। অবস্থানকালীন সময়ে হত্যাকাণ্ডের পুরস্কার হিসেবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগাল দূতাবাসে বদলির আদেশ দেন।
পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান সরকার ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন এবং উপসচিব পদে যোগদানের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী চাকরি থেকে তিনি অবসর নেন। পরবর্তীতে তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরপর তিনি মিনিস্ট্রি অফ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে ডাইরেক্টর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট পদের জন্য আবেদন করেন এবং উক্ত পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি ডাইরেক্টর অফ হেড অফ ন্যাশনাল সেভিংস ডিপার্টমেন্টে বদলি হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্য শুরু করলে তিনি আটক হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন করেন।