জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ১০২ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি এবং ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ছাড়াও স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা আছেন সদস্য হিসেবে।
আওয়ামী লীগের গত সরকারের দশজন মন্ত্রী, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকজন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে রাখা হয়েছে এই কমিটিতে।
সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে এ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় থাকবেন।
কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা ছাড়াও শিক্ষক, স্থপতি, কবি, লেখক, প্রকাশক, সাংবাদিক, গায়ক, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে প্রয়োজনীয় নীতি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদনের পাশাপাশি বাস্তবায়ন কমিটিকে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেবে জাতীয় কমিটি।
আর বাস্তবায়ন কমিটি সার্বিক পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন এবং জাতীয় কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেন, এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু,তরুণ,যুবক- সকলের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকবে। আয়োজনের বিস্তৃতি থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত।
সেদিন তিনি বলেন, “জাতির পিতা রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।”