‘ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে/সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;/ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে/ প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মতো উপত্যকায়;/…ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।/…ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর পতাকার মতো/ দুলতে থাকে স্বাধীনতা।’
কবি শামসুর রাহমানের এ পঙ্ক্তিমালার মতোই যার নামের ওপর দুলছে বাঙালির বিজয়ের পতাকা, দুলতে থাকবে অবিরাম; যার নামের প্রতিশব্দই যেখানে স্বাধীনতা, দুর্মর ভেঙে ফেলা শত শৃঙ্খল; নতজানু হতে শেখা এক অবয়ব, নুয়ে পড়ে সব বাঁধ; সেই অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্ম নেন হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
শততম জন্মদিনে গোটা জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে তাকে, জাতিসত্তা পরিচয়ের চূড়ান্ত রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার শততম জন্মদিন যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে সারাদেশে। আজ সরকারি ছুটি। ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও আজ উদযাপন করা হচ্ছে এ দিনটি।
বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে এবারের বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি। আগামী বছরের ১৭ মার্চ মহান এই নেতার জন্মের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে এরই মধ্যে ২০২০-২০২১ সালকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’। এর অংশ হিসেবে আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী বছরের এই দিন পর্যন্ত দেশজুড়ে বছরব্যাপী আয়োজিত হবে অনুষ্ঠানমালা। এরই মধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে এর প্রস্তুতিও।
জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। স্কুলজীবনেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। কৈশোরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন তিনি। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় থেকে ছাত্র-যুব নেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন নিজেকে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপরই ঢাকায় ফিরে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন তিনি। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হলে তরুণ নেতা শেখ মুজিব দলটির যুগ্ম সম্পাদক নিযুক্ত হন, ১৯৫৩ সালে হন সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৬ সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নামকরণ করা হয় ‘আওয়ামী লীগ’।
বঙ্গবন্ধু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আটান্নর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাঙালির অধিকার আদায়ের এসব আন্দোলনের কারণে বারবার কারাগারেও যেতে হয় তাকে।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছর যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাকে। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে কারাগারে পাঠান তাদের। ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবকে কারামুক্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে সমগ্র বাঙালি।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায় পুরো দেশ। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের ম্যান্ডেট লাভ করে আওয়ামী লীগ; কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির এ নির্বাচনী বিজয়কে মেনে নেয়নি। এরপর স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন বঙ্গবন্ধু।
এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন তিনি। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ ভাষণে সেদিন স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবন থেকে ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। এরপর তাকে তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং দুই লাখ মা-বোনের সল্ফ্ভ্রমহানির বিনিময়ে বীর বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে আনে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু। সদ্য স্বাধীন দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কাজে আত্মনিয়োগ করেন নিজেকে। ১৯৭৫ সালে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১৫ আগস্টের কালরাতে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে নিহত হন সপরিবারে, স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনাবসান ঘটে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসির রায় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়।
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সাম্য ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্য তিনি সারাবিশ্বে সমাদৃত। এসব ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়া বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু।
দিনের কর্মসূচি: দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস একটি দল গার্ড অব অনার দেবে; বাজানো হবে বিউগল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের পাবলিক প্লাজায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও গোপালগঞ্জ শিশু একাডেমি আয়োজিত শিশু সমাবেশ, বইমেলা ও চিত্রপ্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা সভা, সেলাই মেশিন বিতরণ এবং শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। সেখানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলেও যোগ দেবেন তিনি। এর আগে সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাও জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে পবিত্র কোরআনখানি, মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনাসভা হবে। সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে। সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে শিশু সমাবেশ, র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ছাড়াও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী কর্মসূচিতে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও ১০টায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা অর্পণ এবং আগামীকাল সোমবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গতকাল শুরু হয়েছে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরের ঢাকা বধির হাই স্কুল প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং এতিম, প্রতিবন্ধী, বধির ও অসহায় শিশুদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া ৩১ মার্চ সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান ও ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কাটা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনের দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম গতকাল রাত ১২টা ১ মিনিটে একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেককাটা কর্মসূচি পালন করেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আজ সকাল ১১টায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
এ ছাড়া গণফোরাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কচি-কাঁচার মেলা, বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি এবং ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আজ পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা, বইমেলা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।