লালমনিরহাটে প্লেন তৈরি করবো, কোনো চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

1610634074.bd-pm

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লালমনিরহাটে প্লেন তৈরি করবো, কোনো চিন্তা নেই। এভিয়েশন ও এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি হলে পুরো এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম-এসব এলাকা এক সময় খুবই অবহেলিত ছিল। এ কারণে লালমনিরহাটে এভিয়েশন ও এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে। এই একটি প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে আরও ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এছাড়া কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে।

‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাকে পুঁজি করে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি’

====================================

image-214281-1610615790

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাবার মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রেরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যেদিন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নিই, সেদিনই বলেছিলাম আমি মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রীত্ব আর কিছু না, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে এটা যে, আমি কাজ করার সুযোগটা পাচ্ছি। কাজ করার ক্ষমতাটা পাচ্ছি। কাজেই সেই মানুষের জন্য কাজ করব, মানুষের সেবা করব। আমার সরকার মানে মানুষের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।

২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতার হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও আমি বিরোধী দলে ছিলাম, তারপরও। সাধারণত আমাদের দেশে সেটা হয়না। সব সময় দেখা যায় যারা ইমার্জেন্সি দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় যে থাকে তাকেই ধরে। কিন্তু সেই সময় আমাকে আগে ধরল।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের কোনও মানুষ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং কারও ঘর অন্ধকার থাকবে না, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও চাঁদপুর, পিরোজপুর, লালমনিরহাট ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপকারভোগী, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Pin It