বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ একই সূত্রে গাঁথা। প্রবীণ রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকরা গতকাল রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ মন্তব্য করেছেন। তারা আরও বলেন, কেউ যদি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে সেখানে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নাম আসবে।
এছাড়া তারা বলেন, সাত দশক আগে ২৩ জুন ১৯৪৯ সালে নিপীড়িত, বঞ্চিত এবং গরীব-দুখী মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। দলটি সংগ্রাম ও আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গেছে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করে। যা দলটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে রাত সাড়ে আট টা থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়।
ওয়েবিনারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে এই মাটির স্বাধীনতার জন্য অনেকে যুদ্ধ ও লড়াই করেছেন কিন্তু কেউ সফল হতে পারেনি। একমাত্র বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই মাটি ও জাতিকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন।
এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং প্রবীণ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত অংশ নেন। সাবেক ছাত্রনেতা এবং সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় ছিলেন সঞ্চালনায়। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ২৩ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর মাস্টার দা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, তিতুমীর, ক্ষুদিরাম বসু এবং ফকির মজনু শাহ, সিপাহী বিদ্রোহীরা বিদ্রোহ ও সংগ্রাম করে এবং তাদের মাটিকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল। কিন্তু কেউ তারা সফল হতে পারেনি। একমাত্র খোকা (বঙ্গবন্ধুর শৈশব কালের নাম) তা পেরেছেন দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি শোষকের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ মানচিত্র উপহার দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বুদ্ধিমান নেতৃত্ব ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব ছিল না।
এছাড়া গতকালের আলোচনায় দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছেন, আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন।
ফারুক খান বলেন, স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু যেসব কাজ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তা পরবর্তী ৩৫ বছরের কাজের সঙ্গে তুলনীয়।
এছাড়া অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশে থেকে কাজ করে বলেই বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমে আসে।