বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। অধিদফতরের ঝড় সতর্কতা কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, স্বাভাবিক ইলেক্ট্রিসিটির চেয়ে বজ্রপাতের ক্ষমতা কয়েক হাজার গুণ বেশি।
ফলে বজ্রপাতে আহত হলে মারা যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বজ্রপাতে করণীয়
• আকাশে ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে বজ্রপাতের আশঙ্কা তৈরি হয়। ৩০-৪৫ মিনিট বজ্রপাত স্থায়ী হয়, এ সময়ে ঘরে অবস্থান করাই শ্রেয়।
• ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে খুব প্রয়োজন হলে রাবারের জুতা পায়ে বাইরে যাওয়া যেতে পারে।
• বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
• এ সময়ে ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙুল দিয়ে, মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
• যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
• উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকুন।
• বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
• বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না।
• বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
• মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
• এ সময়ে ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে প্লাস্টিকের অথবা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
• খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত থাকুন।
• বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
• বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
• প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
কেউ যদি বজ্রপাতে আহত হন, তবে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।