প্রবীণ রাজনীতিক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
রোববার জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনানী কবরস্থানে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এই এমপি।
দাফনের আগে বনানী কবরস্থান মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ কিছু সময়ের জন্য নেওয়া হয় তার ধানমন্ডির বাসভবনে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে নাসিমের মরদেহ সিরাজগঞ্জে নেওয়া হয়নি। এছাড়া তার দাফনের সময়ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়।
রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মারা যান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে গত ১ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্লাজমা থেরাপিতে কিছুটা সুস্থ হলে ৫ জুন তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিনই ভোরে তার ব্রেইন স্ট্রোক হলে সকালে ওই হাসপাতালেই তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়।
করোনা থেকে সেরে উঠলেও মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ডিপ কোমায় ছিলেন ৭২ বছর বয়সী নাসিম। ডিপ কোমায় থাকা অবস্থাতেই চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
১৯৭৫ সালে কারাগারে হত্যা করা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।