বরিশালে নেমেই ইলিশ খুঁজলেন কলকাতার পর্যটকরা

Barisal-photo-05-5ca62f906159d

মিঠাপানির ইলিশের স্বাদ বেশি। বৃহত্তর বরিশালে নদ-নদীর পানি লবণহীন হওয়ায় এ অঞ্চলে আরোহিত ইলিশের স্বাদের সুনাম সর্বত্র। তাই তো কলকাতার পর্যটকবাহী জাহাজ ‘আর ভি বেঙ্গল গঙ্গা’র পর্যটকরা বরিশালে নেমেই খোঁজ নিলেন ইলিশের। যদিও এখন মৌসুম না হওয়ায় ইলিশ সংকটের কারণে এর স্বাদ ছাড়াই বরিশাল ত্যাগ করতে হয়েছে তাদের।

বাংলাদেশ-ভারত নৌরুট চালুর অংশ হিসেবে কলকাতার জাহাজ বেঙ্গল গঙ্গা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বরিশাল ত্যাগ করে। বুধবার দুপুর দেড়টায় নগরী-সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা পার্কের জেটিতে নোঙর করে রাতে সেখানে থাকে জাহাজটি। ১৯ জন পর্যটক নিয়ে গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কলকাতার খিদিরপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে এটি।

বরিশালে পৌঁছার আগে পিরোজপুরের কাউখালীতে কিছুক্ষণের জন্য যাত্রাবিরতি করা হয়। ঢাকা পৌঁছার আগে চাঁদপুরে যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাহাজে পর্যটকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা গালফ অরিয়েন্ট সি ওয়েস লিমিটেডের লজিস্টিক ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান জানান, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে নৌযান যাত্রীসেবা। পরীক্ষামূলক সফরে আসা বেঙ্গল গঙ্গায় ১৯ পর্যটকের মধ্যে লন্ডন, আমেরিকা ও ইতালির আছেন ছয়জন। বাকিরা ভারতীয়। এ ছাড়া জাহাজের ক্রু ৩০ জন। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া জাহাজ ‘মধুমতি’ এখন কলকাতায় অবস্থান করছে। বেঙ্গল গঙ্গা আগামী ৮ এপ্রিল কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে।

মো. নুরুজ্জামান জানান, জাহাজে থাকা বেশিরভাগ পর্যটক বরিশালে নেমে ইলিশের খোঁজ করছেন। ইলিশ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা। কয়েকজন আমাকে ইলিশ ক্রয় করে এনে দিতেও অনুরোধ করেছেন। তবে ইলিশের ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞার কারণে সেভাবে পাওয়া যায়নি ইলিশ। পর্যটকরা বুধবার রাতে নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন। স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চান ইলিশ সম্পর্কে।

বেঙ্গল গঙ্গার পর্যটক ইন্দ্রজিৎ পাল জানান, বরিশালের ইলিশের কথা অনেক শুনেছি। এখানকার ইলিশ নাকি অনেক সুস্বাদু। তবে দুঃখের বিষয়, ভালো আকৃতির ইলিশ পাওয়া যায়নি।

জাহাজটিতে ভ্রমণ করেছেন আর ভি বেঙ্গল গঙ্গার স্বত্বাধিকারী রাজ সিং। তিনি বলেন, ‘নদীপথে ভারত-বাংলাদেশের এ যাত্রীসেবা ও ভ্রমণে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে পর্যটন শিল্পে। আমরা দু’দেশের মধ্যে চলাচলের জন্য নতুন জাহাজ বানানোর কাজ করছি। আমরা চাই কলকাতা থেকে বাংলাদেশে নিয়মিত সেবা দিতে। এভাবে নৌপথে দু’দেশের মধ্যে ভ্রমণ ব্যবস্থা চালু থাকলে ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্পে উভয় দেশই এগিয়ে যাবে।

Pin It