বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এবার হাসিনা পতনের পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, বিএনপির যে জনপ্রিয়তা- চাইলে বিএনপি দায়িত্ব নিতে পারত। কিন্তু বিএনপি বলেছে আমরা নেব না, জাতীয় সরকারেও যাব না। ইন্ডিপেন্ডেন্ট লোকেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করুক। তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হোক, সেই নির্বাচনে যদি জনগণ সমর্থন দেয় তাহলে বিএনপি জনগণের দায়িত্ব নেবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতা নেয়নি, আমরাই দিয়েছি। বিএনপি বারবার নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব নিয়েছে।
সোমবার বিকালে নগরীর নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ের সামনে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিজয় র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের ছাত্র-জনতা শ্রমজীবী মানুষ, যুবক, সাধারণ মানুষ আমরা সবাই মিলেই তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি। দায়িত্ব দিয়েছি একটি নির্দিষ্ট মিশনের জন্য, একটি দায়িত্ব পালনের জন্য। তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দৈনন্দিন যেসব কাজ, জনগণের যেসব সমস্যা সেগুলো সমাধানের কাজ করবেন এবং পাশাপাশি তারা একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা যে এক দফার লড়াই শুরু করেছিলাম এবং জুলাই-আগস্টে এসে যে এক দফার লড়াইটা হলো সেটা শুধু ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য না, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, এখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ মানুষ হিসেবে আমরা যে যত যোগ্য হই বা না হই, রাজনীতিতে সবচেয়ে যোগ্য তারা যাদেরকে জনগণ সমর্থন দেয়। যাদেরকে জনগণ ভালোবাসে, যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেয়। আমরা চাই জনগণ বহু বছর এই সুযোগ পায়নি, তাদের ভোটের অধিকার দেওয়া হয় নাই, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যত দ্রুত তাদের এই অধিকার দেওয়া হোক, তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং এই প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিজয় র্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রুকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহিদুল আলম খসরু, দক্ষিণ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।