পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে আগেই জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে বাঙালির এই প্রাণের উৎসবে নিরাপত্তার কোনো ফাঁকও রাখতে চান না তারা। তাই প্রচলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে এবার থাকবে পুলিশের নানা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা।
রোববার রমনা বটমূল আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আয়োজনে নিরাপত্তা তদারকি হবে ড্রোনের চোখ দিয়েও। বিস্ফোরক শনাক্তে থাকবে বোম্ব ডিসপোজাল রোবট (আরওভি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত বিভাগ-কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটে (সিটিটিসি) সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন এই সার্ভিলেন্স ড্রোন আর রোবট। আর বাঙালির প্রাণের উৎসব এই নববর্ষের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো নামানো হচ্ছে এই দুটি যন্ত্র। শনিবার রমনা বটমূলে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্র দুটি দিয়ে মহড়া কার্যক্রমও চালিয়েছে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
সিটিটিসির একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, মানুষের ভিড়ের মধ্যে এই সার্ভিলেন্স ড্রোন কাজ করে। ড্রোনটি ভিড়ের উপর থেকে মানুষের মুখমণ্ডলের ছবি নেয়। হাজারো মানুষের মধ্যে অপরাধী কে-তা ছবি বিশ্নেষণ করে বুঝা যাবে। অপরাধীর গতিবিধি চিহ্নিত করা যাবে।
পাশাপাশি কোথাও বিস্ফোরক থাকলে তা অত্যাধুনিক রোবটটি অনেক দূর পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম বলে জানান সিটিটিসির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সশরীরে পুলিশ যেখানে পৌঁছতে পারে না-রোবটটি সেখানে গিয়ে বিস্ফোরকের ছবি আনতে পারে, সেটি নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তায় বরাবরের মতো এবারও আকাশে ওড়বে র্যাবের হেলিকপ্টার। এ ছাড়া সিটিটিসির বিশেষায়িত টিম সোয়াট, ডগ স্কয়াড কে-নাইন ইউনিটও থাকছে মাঠে।