বহুমুখী প্রতিভা ও মেধার অধিকারী শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক ভালো কিছু করতে পারতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শেখ কামাল দেশের ক্রীড়াঙ্গণকে এগিয়ে নিতে সর্বদা চেষ্টা করেছিলেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে তাঁর স্বপ্নও ছিল আকাশছোঁয়া। শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁর বড় বোন শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল। ১৯৪৯ সালের আজকের দিনে জন্মেছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর এই গুণীজন।
মাত্র ২৬ বছর বেঁচে ছিলেন শেখ কামাল। তার জীবনের এই অল্প সময়ের মধ্যেই রেখে গেছেন নানা স্মৃতি। একাধারে তিনি যেমন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, তেমনি দেশের ক্রীড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও যথেষ্ট সরব ছিলেন রাজনীতির মাঠেও। টগবগে এই তরুণ যখন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গড়ার নতুন যুদ্ধে লিপ্ত, তখনই তাকে ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সন্তান বেঁচে থাকলে ৭১ বছরে পা রাখতেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশেষ ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে। এতে সংযুক্ত বিশিষ্টজনরা শেখ কামালের অবদান স্বীকার করে স্মৃতিচারণ করেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, সম্ভাবনাময় এই তরুণের শূন্যতা কোনোদিনই পূরণ হবার নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে ছোটবেলাতেই অনেক দায়িত্বশীল ছিল। কামাল আজকে নেই কিন্তু তার চিন্তা-ভাবনাগুলো রয়েছে। ক্রীড়া, সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই দায়িত্বশীল কামালের স্মৃতিচারণ করে বড় বোন শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় না এলে হয়তো বিচারই হতো না ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের।
পরে, অনলাইনে সংযুক্ত আলোচকদের নিয়ে শেখ কামালসহ ৭৫’এর দুঃসহ রাতে প্রাণ হারানো পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য মোনাজাত করেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।