বাংলাদেশের বন্ড বাজার বিকাশে আইএফসির সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

image-192834-1603290530

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গত বছর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে ২ কোটি ডলার (১৭০ কোটি টাকা) সমমূল্যের বন্ড ছাড়তে প্রাথমিক সহায়তা করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি)। প্রাথমিকভাবে ৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা (৯৫ লাখ ডলার) সমপরিমাণ বাংলাদেশি ‘টাকা বন্ড’ চালু করা হয়েছিল, যা এক বছরে প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যমানের বন্ডে উন্নীত করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু করোনার কারণে এই উদ্যোগটি স্তিমিত হয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আইএফসি এ খাতটি সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

চলমান বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর বার্ষিক সভার অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও আইএফসির চিফ অপারেটিং অফিসার স্টিফানি ফন ফ্রিডবার্গের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে অর্থমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে আইএফসির পক্ষে স্টিফানি ফন ফ্রিডবার্গ ও এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফোনসো গার্সিয়া মোরা এবং বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার অংশগ্রহণ করেন।

কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলিকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সাম্প্রতিক উদ্যোগের জন্য অর্থমন্ত্রী আইএফসিকে ধন্যবাদ জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়েও আইএফসির করনীয় নিশ্চিতে তিনি আহ্বান জানান। মহামারি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে প্রণোদিত করা, ঋণের সুদ হার হ্রাস করার অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশের ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বিশেষ করে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের জন্য তিনি আইএফসির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এ বিষয়ে আইএফসির পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সভায় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন করোনার টিকা আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আমাদের দেশীয় তিনটি ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানকে টিকা তৈরি করার উপযোগী করতে শুরু করেছে। আশা করা যায় টিকা আবিষ্কারের ছয় মাসের মধ্যেই এ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে টিকা প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। যেহেতু আমাদের বিশাল জনসংখ্যার জন্য সব টিকাই আমদানি করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের দেশীয় টিকার ওপরও আমরা গুরুত্ব দিব। এ সকল প্রতিষ্ঠানেরও টিকা প্রস্তুত করতে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, আইএফসির এ খাতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Pin It