২২ এপ্রিল ঢাকায় শুরু হবে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট। এর আগে প্রচারণার অংশ হিসেবে আকর্ষণীয় সব আয়োজন থাকছে টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান কে স্পোর্টসের। এর অংশ হিসেবে আজ বাড্ডার বেরাইদ ফর্টিজ একাডেমি মাঠে দিনভর হয়ে গেল ‘উইমেন্স ফুটবল ডে আউট’। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও বিকেএসপির প্রায় ৮০ জন কিশোরী সারাটা দিন ফুটবল উন্মাদনায় মেতে রইল। সবুজের গালিচায় ছয় দলে ভাগ হয়ে এই মেয়েরা ফুটবল খেলেছে জাতীয় দলের ফুটবলার মারিয়া মান্দা, মণিকা চাকমাদের সঙ্গে।
সেখানে আনন্দের মাত্রাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকায় আসা কলম্বিয়ার দুই নারী ফুটবলার জেসিকা হুরতাদো ও ক্যাথেরিন ফ্যাবিওলা কাস্ত্রো। মেয়েদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য দুই তারকা ফুটবলারের সঙ্গে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। কলম্বিয়ান দুই ফুটবলার শুধু গল্প করে অভিজ্ঞতাই ভাগাভাগি করে নেননি, খেলেছেনও মাঠে নেমে। বঙ্গমাতার আদর্শ ফুটবলারদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং টুর্নামেন্টের প্রচারণার অংশ হিসেবেই এ আয়োজন। আর এই উৎসবে যোগ দিতে পেরে যেমন রোমাঞ্চিত জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফুটবলাররা, তেমনি খুশি স্কুলের কিশোরীরাও।
সকালের সেশনে প্রথমে ফুটবলারদের সঙ্গে খেলেন দুই কলম্বিয়ান। খেলার মাঝেই নিজেরা বল নিয়ে কারিকুরি করেন। জয়া আহসান, জেসিকাদের সঙ্গে ছবি তোলার ফাঁকে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন আঁখি খাতুন, শামসুন্নাহারেরা। বিকেলের সেশনে বিপরীত চিত্র। ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ফুটবলার সানজিদা হয়ে গেলেন কোচ! আর বাঁশি হাতে রেফারির ভূমিকায় শামসুন্নাহার সিনিয়র। এমন একটা দিন কাটাতে পেরে উচ্ছ্বসিত মারিয়া, ‘এখানে এসে অনেক ভালো লেগেছে। অনেকে এসে আমার সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। ওরা বলেছে, মারিয়া আপু তোমার খেলা দেখি। তোমার খেলা ভালো লাগে। আমার সঙ্গে ওরা সেলফি তুলেছে।’
ফুটবলের অনুষ্ঠানে ফুটবলারদের চেয়ে বেশি আলো কেড়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। এই ফুটবলারদের কাছ থেকে নতুন করে অনুপ্রেরণা খুঁজলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান, ‘এটা সত্যি, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কোনো বাধা নেই। আমি নিশ্চিত আমাদের মেয়েরা সেটা আবার প্রমাণ করবে। আমার জন্যও এটা অসাধারণ দিন। জানি আমাদের মেয়েরা অদম্য। হয়তো অন্য দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি কিন্তু এই দলের মেয়েরা যেভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে, ওদের দেখে নিজেও অনুপ্রাণিত।’
দেশের মাঠে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে এই আয়োজনে জয়া আছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। টুর্নামেন্ট নিয়ে তৈরি আবহ সংগীতে মডেল হয়েছেন তিনি। এখানে জয়া আহসানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বাংলার নারীদের এগিয়ে চলার বার্তা।