সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ২০ বাংলাদেশি জেলেকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের ‘নির্যাতন করে’ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খান জানান, বুধবার রাত ১২টার পর সেই জেলেরা ছাড়া পেয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন।
“টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনী ওই ২০ জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার আগে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে।”
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে সীতাপাহাড় এলাকা থেকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ওই জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আমিন জানান।
তিনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া গ্রামের কবির মাঝির ছেলে আমির হোসেন, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবুল বশর ওরফে বাইল্যা, ডাঙ্গারপাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে অলি আহমদ ও আমির হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলামের মালিকানাধীন চারটি নৌকায় করে ২০ জেলে বঙ্গোপসাগরের সীতাপাহাড় এলাকায় মাছ ধরতে যায়।
“মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে জেলেদের ধরে নেওয়ার বিষয়টি নৌকার মালিকদের মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়।”
এর আগে গতবছরের ১০ নভেম্বর নাফনদী মোহনা ও বঙ্গোপসাগর থেকে নয়জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি মাছ ধরার নৌকা ধরে নিয়ে মিয়ানমারের বাহিনী।
পরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি ওই জেলেদের ফেরত আনে।