বাংলাদেশ আর আমার বয়স একই :জয়

image-171006-1595973736

জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোয় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ ধন্যবাদ জানান। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন ছিল সোমবার। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনটিতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশে থাকা তার অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী তাকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান। সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে লেখেন, ‘যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আসলে আমার বয়স লুকানোর কোনো উপায় নেই। কারণ বাংলাদেশ আর আমার বয়স একই! জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় জয় তার মা-বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। সোফিয়া নামে তাদের একটি মেয়ে আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে সমগ্র দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

Pin It