ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলকে এক কাতারে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বড় কর্মসূচি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে একটায় শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজকে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল দল, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি এক মঞ্চে এসে দাঁড়ান। একসাথে কথা বলুন। আমরা এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিতে চাই। রাতের দিকে সবার সাথে কথা বলব।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা শরিফ ওসমান হাদিকে ধারণ করি। ওসমান হাদির দেশ ও জুলাই অভ্যুত্থানকে রক্ষা করার যে অসমাপ্ত বিপ্লব, সে কর্মসূচি আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। হাদি শাহবাগে দাঁড়িয়ে সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছিলেন। সেখানে তিনি ভারতীয় ও বৈদেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করব। আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে।
নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ কার্যত একটি যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যেখানে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করা ছাত্র-তরুণ ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জীবন বিপন্ন। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং দায়িত্বশীল হব।
তিনি আরও সতর্ক করেন, জনগণের ক্ষোভের ব্যবহার করে আন্দোলনের ভেতরে স্যাবোটেজের পরিকল্পনা রয়েছে। এখন জাতিকে বিভক্ত করার সময় নয়। যারা আমাদের লড়াইয়ের গতিমুখ অন্যদিকে নিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
ভারতের প্রসঙ্গেও নাহিদ বলেন, ওসমান হাদিকে যারা হত্যা করেছে তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে ফেরত দিতে হবে। তাদের ফেরত দেওয়ার আগে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকতে পারবে না। এছাড়া বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে বসে সকল ষড়যন্ত্র পরিচালনা করছেন। তাকে ফেরত দিতে হবে। জুলাইয়ের সব খুনিকে ফেরত আনার দাবি রয়েছে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের লড়াই স্তিমিত হয়েছিল। এবার আর ভুল করা যাবে না। লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আন্দোলন করব, আগুন দিব; তারপর পরশু চলে যাব—এভাবে নয়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। জুলাই অভ্যুত্থানে মানুষ যেসব পয়েন্টে নেমেছিল, সেসব পয়েন্টে পুনরায় নেমে আসার আহ্বান জানাই।





