বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনের কারুপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)ও বাংলা একাডেমি মেলার আয়োজক।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হস্ত, কুটির কারুশিল্পী ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর প্রায় ২০০টি স্টল স্থান পেয়েছে মেলায়। ১০টি স্টলে কারুশিল্পীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন।
বিসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখের দিনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন মেলার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান ছাড়াও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম ও একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী ১৪২৫ বাংলা সনের শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পরেশ চন্দ্র দাশের হাতে (বাঁশ-বেত শিল্প), ‘কারুরত্ন’ পুরস্কার তুলে দেন।
এছাড়া দক্ষ কারুশিল্পী হিসেবে রংপুরের পীরগাছার আনোয়ার হোসেন (শতরঞ্চি), বান্দরবানের উজানীপাড়ার জিং চেওময় বম (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কারুশিল্প), ঢাকার শাখারী বাজারের অনুপ নাগ (শঙ্খ ও ঝিনুক), বান্দরবান রোয়াংছড়ির কাঁসি চন্দ্র ত্রিপুরা (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কারুশিল্প),
ঢাকার নারিন্দার সানজানা হোসেন, (পুতুল), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের হোসনে আরা বেগম (সূচি শিল্প), রাজশাহীর বাগধানীর সুবোধ কুমার পাল, (মৃৎ শিল্প), যশোরের ঝিকরগাছার খন্দকার আহাদুজ্জোহাকে (সূচি শিল্প) ‘কারুগৌরব’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে মেলা।