বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ—এ দুটি নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে হাওয়াইয়ান গিটারে ৫০ জন শিল্পীর দেশাত্মকবোধক সঙ্গীতের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও গিটারচর্চার পথিকৃৎ মো. হাসানুর রহমান বাচ্চু ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি ও গবেষক আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পরই তখনকার ‘ড্রয়িংরুমভিত্তিক রাজনীতি’ জনগণের কাছে যায় এবং প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও পরে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো সংবিধান ছিল না। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচিত হয়। ১৯৫২ সালে আমাদের ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা হলেও প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা চালু হওয়া, ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ সবই শুরু হয় ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার পর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাঙালির মনন তৈরি করেছিলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের হয়েই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। সে কারণেই আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে।
হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই বাঙালি সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেত। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বিধায় আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ভাষা আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি এবং শুধু তাই নয়, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তোমাকে ভুলিতে পারি’ এই গান এখন সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় বাজানো হয়।
হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের সদস্য কবির আহমদ, মো. শফিউল্লাহ খোকন, মো. ফরহাদ আজিজ এবং আব্দুর রউফ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।