আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাঁচ লাখ কোটি টাকার উপরে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবনে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি, ক্ষমতা আমার কাছে ভোগের বস্তু নয়, ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের সেবা করার একটা সুযোগ। সেই কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের সব মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।
তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তথন বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। আজকে আমরা ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বাজেট দিয়েছিলাম। ইনশাল্লাহ এবারে যে নতুন বাজেট আমরা দিতে যাচ্ছি আগামী জুন মাসের ১৩ তারিখে সেই বাজেট ৫ লক্ষ কোটি টাকার উপরে হবে।”
উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের (এডিপি) পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আজকে ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে, আজকে মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে, দারিদ্র্যের হার ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি, হতদরিদ্রের হারও আমরা ১১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ, এই বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না।”
উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে আমার এইটুকুই চাওয়া, আপনারা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ হিসেবে যেন আমরা গড়তে পারি।
“প্রতিটি গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা সব ব্যবস্থাগুলো আমরা করে দিচ্ছি। একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কেউ বিনা চিকিৎসায় থাকবে না, কেউ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। প্রত্যেকটা মানুষ তার মৌলিক অধিকার ভোগ করবে।”
ঈদে দেশে থাকছেন না জানিয়ে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি দেশবাসীকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “এই ঈদও শান্তিপূর্ণভাবে হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত চমৎকারভাবে কাজ করছে। একদিকে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ যেমন দমন করেছে অপরদিকে প্রতিটি উৎসবকে তারা উৎসবমুখর করেছে।
“নিজেদের সব কিছু ত্যাগ স্বীকার করে দেশের মানুষের আনন্দ, উৎসব নিশ্চিত করেছে। এজন্য আমাদের র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
ইফতার অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।