ভোটযুদ্ধে লাঙ্গল প্রতীকে জয়ের ফলাফল এসেছে এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদের ঘরে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ হলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ২১.৩৬ শতাংশ।
জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত এ আসনে বরাবরের মত জয় পেল জাতীয় পার্টি (জাপা)। এ আসনে জয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ আসনে ভোট হয়। এতে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহী সাদ এরশাদ (লাঙ্গল) ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ) পান ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট।
এছাড়া এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ( মোটরগাড়ি) ১৪ হাজার ৯৮৪, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) ৯২৪, এনপিপির শফিউল আলম (আম) ৬১১ ও গণফ্রন্টের কাজী মো. শহিদুল্লাহ (মাছ) ১৬৬২ ভোট পান।
গত ১৪ জুলাই জাপার চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়।
জয়ের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এ জয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের জয়। এ আসনটি চেয়ারম্যানের আসন ছিল। তার ছেলে সাদ এরশাদ বিজয়ী হওয়াতে এরশাদই বিজয়ী হয়েছেন। ভোটারদের উপস্থিতি সরব হলে আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হতো।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
আসনটিতে সাদ এরশাদকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হলে স্থানীয় মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ঘোর বিরোধিতা করে স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী করার দাবি জানান।
আর বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রিটা রহমানকে মনোনয়ন দিলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সরে দাঁড়ান। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারণায় অংশ নেয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিমান ভুলে রিটা রহমানকে সমর্থন করেন।